যে পাঁচটি মিথ্যা সঙ্গীকে বলাই যায়!
সম্পর্ক- এই শব্দটির গুরুত্ব আমাদের সবার কাছেই অনেক। তবে সম্পর্কের বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দেন আবার কেউ দেন না। যদি কেউ সম্পর্কের ব্যাপারে উদাসিন থাকেন তাহলে কী আর করা! অপর পক্ষের উদাসিনতার জন্য সম্পর্কে তো আর চাইলেই ইতি টানতে পারবেন না! এক্ষেত্রে ছোটখাটো কিছু মিথ্যা বলাই যায়। যা আপনার সম্পর্কের রসায়ন ধরে রাখবে। কী বিশ্বাস হচ্ছে না? রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদন কিন্তু এমনটাই বলছে। চলুন, এক নজরে জেনে নিন সম্পর্ক ধরে রাখতে কোন মিথ্যা কথাগুলো সঙ্গীকে বলা যায়-
'তুমিই ঠিক'
আপনার সঙ্গীর কথা আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। প্রচণ্ড রাগও হতে পারেন তার প্রতি। কিন্তু সবসময় বিরোধিতা না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিছু সময় মেনে নিয়ে ‘তুমিই ঠিক’ এই মিথ্যা কথাটি বলাই যাই। দেখবেন, এতে ঝগড়াটা সেই মুহূর্তেই থেমে গেছে। ‘দ্য ব্লেইম গেইম’ বইয়ের লেখক মেলোডি ব্রুক ঠিক এমনটাই বলেছেন।
'তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে'
আমাকে কী এই পোশাকটিতে মোটা লাগছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আপনি একটু আধটু মিথ্যা বলতেই পারেন। এই যেমন- 'না, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।' আপনার সঙ্গীও খুশি, আপনিও ঝামেলামুক্ত। যে কথাগুলো আপনি মাথা থেকে চিন্তা করেন, তা যদি সবই বলা শুরু করেন তাহলে আপনার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে যাবে। সম্পর্ক বিষয়ক সাংবাদিক এলিজাবেথ বার্নস্টেনের এই সতর্কবাণীটি আপনাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
'আমি সবচেয়ে বেশি তোমাকে ভালোবাসি'
কিছু কিছু সময় মিথ্যা কথাই আপনার সম্পর্কে প্রাণ ধরে রাখে। আপনি আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসবেন, এটাই সত্যি। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে ভালোবাসেন এটা সত্যি নয়। কিন্তু মেয়েরা এই মিথ্যা কথাটিই শুনতে চায়। তাই আপনার চিন্তা কী? বলে ফেলুন। কারণে, অকারণে, সবসময়- ‘আমি সবচেয়ে বেশি তোমাকেই ভালোবাসি।’ সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক সিয়েন হোরান এমন উপদেশই দিয়েছেন।
'আমি ঠিক আছি'
এমন অনেক সময় আছে যখন আপনার সঙ্গী জানতে চায়, আপনার কী হয়েছে। কিন্তু আপনার কাছে থেকে তেমন কোনো উত্তর সে শুনতে পায় না। এর ফলে শুরু হয় খুনসুটি। যাই হোক। সম্পর্কে যেহেতু থাকতেই হবে, ঝামেলা করে কী লাভ। নির্দিধায় বলে ফেলুন- ‘আমি ঠিক আছি।’ ব্যাস, সব প্রশ্নের অবসান এখানেই। সম্পর্কবিষয়ক সাংবাদিক এলিজাবেথ বার্নস্টেনের এই কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন।
'আমি বুঝতে পেরেছি'
হয়তো আপনি আপনার সঙ্গীর কোনো কথাই বুঝতে পারছেন না। কিন্তু সবসময় আপনাকে এমন ভাব দেখাতে হবে যেন, সে না বললেও আপনি অনেক কিছু বোঝেন। কোনো কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই বলবেন- ‘আমি বুঝতে পেরেছি।’ দেখবেন, নতুন কোনো সমস্যার কথা আর আপনাকে শুনতে হবে না। সহানুভূতি, সব সমস্যা বোঝা এবং অনুভব করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। তাহলেই আপনারা সম্পর্কে সুখী থাকবেন। মনোবিজ্ঞানী আলবার্ট মাসল তো এমনটাই বলেছেন।