ব্রেকআপ করুন আপনিই!
বহুদিনের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। চেষ্টা অনেক রকমেরই করেছেন, তাও যেন তাল মিলছে না কোনোমতেই। কিন্তু চারপাশ, পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবের কথা ভেবে অথবা ‘সবাই এখন কী বলবে’ এই চিন্তায় কিছুই ‘করতে’ পারছেন না। তার ওপর রয়েছে নিজের বিবেকের কাছে ‘অপরাধী’ হওয়ার ভয়! সম্পর্ক মোটেও জোর করে, বিরক্তি নিয়ে কিংবা ভয়ের কারণে ধরে রাখার মতো কিছু নয়। আপনার ‘সঙ্গী’ ব্রেকআপের উদ্যোগ নেবে আর আপনি মন খারাপ করে সেটা মেনে নেবেন, এই সুযোগের আশায় বসে থাকার কোনো মানে নেই। জিকিউ বলছে, সম্পর্কতে কোনোমতেই থিতু হতে না পারলে সেটা নিজ উদ্যোগেই ভেঙে ফেলা ভালো। কঠিন কাজটি করতে হলে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিন।
১. প্রস্তুত হোন : আশপাশে কে কী ভাবছে আর কে কী প্রশ্ন করবে, এ প্রশ্ন নিয়ে পড়ে থাকবেন না। নিজেকে প্রস্তুত করুন পুরোপুরি। নিজের গণ্ডির সবচেয়ে ‘ভালো’ মানুষটি হওয়ার কোনো দরকার নেই। সরাসরি আপনার সিদ্ধান্ত প্রকাশের জন্য প্রস্তুত হোন।
২. সৎ থাকুন : সঙ্গীকে এসব আবেগী কথা বা যুক্তি দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই যে ‘আমি তোমার যথেষ্ট উপযোগী নই’ কিংবা ‘তুমি আসলে আমার চেয়েও যোগ্য কাউকে ডিজার্ভ করো’! আপনার প্রকৃত অনুভূতি সরাসরি জানিয়ে দিন, একই সঙ্গে আপনার মতামতটাও। ভালো না লাগলে মিথ্যা আবেগের অসততা দেখানোর তো কোনো মানে নেই!
৩. কঠোর হোন : ব্রেকআপ করুন, সুস্পষ্ট এবং কঠোরভাবে। এর মানে হলো, কোনো ধরনের দ্বিতীয় চিন্তা, ভেবে দেখা বা একটু বসে আলোচনার হিসাব একদম করবেন না। কোনো ধরনের ‘বন্ধুর মতো সম্পর্ক’ ধরে রাখার সিদ্ধান্ত ভুলেও নেবেন না। সেটা দুজনেরই ভবিষ্যৎ জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না।
৪. স্মার্ট হোন : সম্পর্ক ভেঙে মুষড়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। কে জানে, এই ব্রেকআপের কারণে হয়তো আপনার চেয়ে ঢের খুশি আপনার ‘সঙ্গী’ই হতে যাচ্ছেন, রীতিমতো হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে যাচ্ছেন!
৫. ভদ্রতা দেখান : কোনো ধরনের নাটকীয় কাজ বা সিনক্রিয়েট না করে আপনার ভদ্রতা দেখান। স্পষ্ট এবং পরিশীলিত ভঙ্গিতে আপনার সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁকে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো ধরনের হৈহুল্লোড় বা হতাশা, কোনোটাই লোক দেখিয়ে করার ভুলটি করতে যাবেন না। মনে রাখবেন, এই সময়টায় মানুষ আপনাকে সহমর্মিতা দেখানোর ছলে নিজের উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টাই করতে পারে সবচেয়ে বেশি।
সবশেষে একটি কথা, ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিন। নিজেকে নিশ্চিত করুন যে সম্পর্কের বিষয়ে আসলেই আপনার আর কোনো আগ্রহ অবশিষ্ট নেই কিংবা এটি ধরে রাখার কোনো চেষ্টায় ত্রুটি করেননি আপনি। এ সিদ্ধান্তে নিশ্চিত না হলে মোটেও এসব পরামর্শের ধারেকাছে দিয়ে যাবেন না!