দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের রহস্য
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী চেহারা, বয়স, আয়সহ কয়েকটি বিষয় দাম্পত্য জীবনের ওপর প্রভাব ফেলে। গবেষকরাও প্রচলিত এই ধারণার সঙ্গে মিল পেয়েছেন। দুটি সমীক্ষার ভিত্তিতে করা যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায় দেখা গেছে, বাহ্যিক সৌন্দর্য, লিঙ্গ, বয়স, ব্যক্তিগত আয়, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয় কোনো দাম্পত্য জীবনের সুখ ও দীর্ঘতার ওপর প্রভাব রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক দাম্পত্য জীবনের ওপর বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষাভিত্তিক গবেষণা চালান। এতে নেতৃত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টির মনোবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ডেভিড ফ্রেডরিক। গত বুধবার ‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড ইনডিভিজুয়াল’ বিজ্ঞান সাময়িকীতে এই সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সী বিপরীত লিঙ্গের ২৮ হাজার দম্পত্তির ওপর সমীক্ষা করা হয়। পরে ওই সমীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণা চলে।
গবেষক পেট্রিক ফ্রেডরিক বলেন, গবেষণায় দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের জন্য নারী-পুরুষের চাহিদা ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের ওপর হলেও সারা বিশ্বের আধুনিক দম্পত্তির মধ্যে বিষয়গুলো দেখা যায়, তবে দেশভেদে হারের কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। গবেষণায় পাওয়া বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে চাহিদার সম্পর্ক তুলে ধরা হলো।
সঙ্গীর ভালো চেহারা চান ৯২ শতাংশ পুরুষ ও ৮৪ শতাংশ নারী।
সঙ্গীর সুস্বাস্থ্য চান ৮০ শতাংশ পুরুষ ও ৫৮ শতাংশ নারী।
সঙ্গীর নির্ভরযোগ্য আয় চান ৭৪ শতাংশ পুরুষ ও ৯৭ শতাংশ নারী।
সঙ্গী প্রচুর আয় করুক এমনটি চান ৪৭ শতাংশ পুরুষ ও ৬৯ শতাংশ নারী।
সঙ্গী তাঁর সমান আয় করুক এমনটি চান ২৪ শতাংশ পুরুষ ও ৪৬ শতাংশ নারী।
সঙ্গী তাঁর কাজে সফল হোক এমনটি চান ৩৩ শতাংশ পুরুষ ও ৬১ শতাংশ নারী।
গবেষণায় আরো কয়েকটি বিষয়ের কথা তুলে ধরেন। আত্মবিশ্বাসী, সুন্দর স্বাস্থ্য ও গঠনের অধিকারী নারী বা পুরুষ বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গীও একই রকম হোক এমনটি চান। তবে সঙ্গী তাঁকে পছন্দ করল কি না এই বিষয়টি তাঁরা তেমন একটা গুরুত্ব দেন না।
বেশি আয় করেন এমন পুরুষ নারী সঙ্গীর সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দেন। তবে বেশি আয় করেন এমন নারীরা চান, পুরুষটিও তাঁর মতোই বা তাঁর চেয়ে বেশি আয় করুক।
উচ্চশিক্ষিত পুরুষও নারী সঙ্গীটির সৌন্দকে গুরুত্ব দেন। আর উচ্চশিক্ষিত নারী ও পুরুষের মধ্যে নির্ভরযোগ্য আয় বা অনেক আয়ের বিষয়টি গুরুত্ব পায় না।
বেশি বয়স্ক নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই গুরুত্ব পান মূলত দুটি বিষয়—একই সমান আয় ও কাজে সফলতা।