সম্পর্ক জোরদার করতে মেয়েরা যা করবেন
এটা ঠিক যে, সম্পর্ক তার আপন গতিতে চলে। তবুও নিজের চেষ্টা আর ইচ্ছে না থাকলে সেই সম্পর্ক টেকানো বড় দায়। সম্পর্কে সুখে থাকতে চাইলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও কিছু জিনিস মেনে চলতে হয়। প্রেমে মেয়েদের করণীয় বিষয়ে নিচে বর্ণিত বিষয়গুলো গবেষণালব্ধ। ইন্টারনেট রিসার্চ, সাক্ষাৎকার, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এসবের ওপর ভিত্তি করে সম্পর্ক উন্নয়নে কার্যকরী এই পরামর্শগুলো বিভিন্ন সাইটে তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই কার্যকর। তবে ছেলেরাও জেনে রাখতে পারেন।
১. মজার ছলে যা চাচ্ছেন তা পাবেন না
আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে সম্পর্কে আরো সৎ ও সিরিয়াস হতে হবে। আপনি যদি আপনার সম্পর্কে বলিউড অথবা ঢালিউড ফর্মুলা প্রয়োগ করেন তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। আমাদের দেশের অনেক মেয়ে জীবনকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে মেলাতে যান, যা মোটেও ঠিক না। আপনি নিশ্চয় তারকাদের মতো বিচ্ছেদময় সম্পর্ক চান না!
২. মূল্যায়ন করুন
আপনার প্রেমিক আপনার জন্য যাই আনুক না কেন, সেটার অর্থমূল্য যত কম হোক না কেন তার মূল্যায়ন করুন। বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে কেনাকাটায় পটু হয় না। কাজেই যদি আপনার পছন্দসই শপিংয়ে সে অভ্যস্ত নাও হয় তবুও তার দেওয়া জিনিসকে মূল্যায়ন করুন।
৩. কিছু উপহার আপনিও দিন
সমাজে প্রচলিত মিথ হলো, প্রেমে উপহার শুধু ছেলেরাই দেবে। না, এটা মোটেও ঠিক না। আপনিও আপনার সাধ্যমতো উপহার দিন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব আরো প্রখর হবে।
৪. ‘সাবেক’ নিয়ে কথা নয়
আপনার যদি সাবেক প্রেমিক বা স্বামী থেকে থাকে এবং সেটা আপনার বর্তমান প্রেমিক বা স্বামী জেনে থাকলে ভালো। তবে সাবেক প্রেমিকের কথা তুলে পরিস্থিতি ঘোলা করবেন না।
৫. কিছু গল্প বাঁচিয়ে রাখুন
সবকিছু আপনার প্রেমিক কিংবা স্বামীর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। আপনার সারা জীবন আস্তে আস্তে তার সামনে উন্মোচন করুন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যাতে আপনাকে সে নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগ পায়। এতে আপনার প্রতি তার আকর্ষণ প্রতিনিয়ত বাড়বে।
৬. নিজের মতোই থাকুন
আপনি যেমন নিজেকে সেভাবেই তুলে ধরুন। কোনোরকম ভনিতা দিয়ে সম্পর্ক ভালো করা সম্ভব না। আপনার স্বকীয় অস্তিত্ব তুলে ধরুন এবং সেটা নিয়ে গর্ববোধ করুন।
৭. আত্মসম্মানবোধ
যেসব মেয়ের আত্মসম্মানবোধ বেশি তাদের ছেলেরা পছন্দ করে। আর তা ছাড়া, না করলেও কিছু যায় আসে না। কোনো সম্পর্ক রক্ষার জন্য আপনি কখনই আত্মসম্মানবোধ খোঁয়াবেন না। এতে আপনার সম্পর্কের জন্যই মঙ্গল হবে। আপনি নিশ্চয়ই চান না কারো কাছে ছোট হয়ে থাকতে?
৮. আপনি কি চান সেটা জানুন
আপনি যদি আপনার প্রেমিকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারেন তবে সম্পর্কের ইতি টানেন। সীদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। ভালো কেউ না আসা পর্যন্ত চলুক এমন ভাব রাখা মোটেও সুখকর নয়।
৯. তার চোখের ভাষা বুঝুন
সম্পর্কের বোঝাপড়া গড়ে ওঠে চোখের ইশারায়। যে প্রেমিকজুটি যত নিজেদের চোখের ভাষা বোঝে তারা তত সুখী হয়। আপনার প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনার প্রেমিকের চোখের ভাষা বুঝে নিন। এতে তাকে বোঝার জন্য আপনার সুবিধা হবে।
১০. সম্পর্কে খেলাধুলা ভালো
মাঝেমধ্যে প্রেমিকের জন্য সারপ্রাইজ রাখুন। সম্পর্কে একটা উত্তেজনা ধরে রাখা ভালো, তাহলে কখনো বিরক্ত হবেন না। বিরক্ত হবে না আপনার সঙ্গীও।
১১. সম্পর্ক মানেই শুধু যৌনতা নয়
প্রেমিকের কাছে নিজেকে শরীর সর্বস্ব করে তুলবেন না। সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক থাকতেই পারে কিন্তু তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলুন, সঙ্গীকে বুঝুন।
১২. হঠাৎ কোনো সীদ্ধান্ত নয়
কোনো ব্যাপারে হুট করে সীদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না। সম্পর্কের কোনো পর্যায়ে না ভেবেচিন্তে একটা সীদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা হবে বোকামি। সেটা বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের যাই হোক না কেন। কাজেই, ভাবুন।
১৩. বন্ধুদের সব বলতে যাবেন না
নিজের সম্পর্কে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক বন্ধুদের সঙ্গে সব ভাগাভাগি করা যাবে না। অনেক সময় হিংসা থেকেও অনেক বন্ধু ভুল সীদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। কাজেই সাবধান।
১৪. বিল পরিশোধে এগিয়ে যান
আমাদের দেশে প্রেমে আরো একটা মিথ হলো বিল সবসময় ছেলেরা পরিশোধ করবে। এটা মোটেও ঠিক না। নিজের আত্মনির্ভশীলতা তুলে ধরতে বিল পরিশোধ করতে এগিয়ে যান।
১৫. সৎ থাকুন, নিজেকে জানুন
সবশেষে সম্পর্কে সৎ থাকুন আর নিজেকে জানুন।