আদর্শ বাবা হওয়ার লক্ষণ কী?
প্রেম করার সময় আপনি হয়তো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন না। তবে আপনি যদি প্রেমিককে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন আর তার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখেন যাতে সে আপনার সন্তানের জন্য আদর্শ বাবা হবে তাহলে তো বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। আজকাল শিশু লালনপালন করাটা সহজ কাজ নয়। তাই এমন কাউকে যদি পান যিনি ভালো জীবনসঙ্গী হওয়ার পাশাপাশি ভালো বাবা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, তাহলে তো আর কথাই নেই।
আপনি কি কখনো লক্ষ করেছেন আপনার প্রেমিকের বাড়তি সেসব গুণাবলি রয়েছে কি না, যার দ্বারা তার দায়িত্ববোধ প্রকাশ পায়। লক্ষ না করলে এখনই বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে প্রকাশিত তালিকাটি দেখে নিন। আর মিলিয়ে নিন আপনার প্রেমিক আদর্শ বাবা হবেন কি না!
তিনি কি যত্নশীল?
আপনার প্রতি তিনি কতটা যত্নবান তা যাচাই করুন। কেননা একজন যত্নবান পুরুষই আদর্শ বাবা হতে পারবেন। আপনার প্রতিই যদি তিনি অধিক যত্নবান না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সন্তানের প্রতিও তিনি কম যত্নশীল হবেন।
তিনি কি ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করছেন?
বাবা হিসেবে সন্তানের চাহিদা পূরণ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা খুবই জরুরি। আপনার প্রেমিক তা করেন কি না ভালো করে লক্ষ করুন।
পেশার প্রতি কতটা দায়িত্বশীল?
আপনার প্রেমিক পেশার প্রতি দায়িত্বশীল কি না খেয়াল করুন। আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে অবশ্যই চাকরি কিংবা ব্যবসা যাই করুক না কেন, সেটাকে যথেষ্ট প্রাধান্য দিতে হবে।
আপনার সঙ্গে কি পর্যাপ্ত সময় কাটায়?
প্রেমিক আপনার সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটায় তো? এই অভ্যাস থাকলেই বুঝবেন পরবর্তী সময়ে তিনি সন্তানের সঙ্গে যথেষ্ট সময় ব্যয় করবেন। আর যদি এমন না হয়, তাহলে আগেভাগেই কেটে পড়ুন।
তর্কের পরে তিনি কেমন আচরণ করেন?
কোনো বিষয় নিয়ে অবাঞ্ছিত তর্কের পর তিনি কি নিজে থেকে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন? যদি তাই হয়, তবে তা খুব ভালো লক্ষণ। কারণ বাবা হিসেবে সন্তানের জেদ সহ্য করার মানসিকতাও তার থাকবে।
উদাস থাকলে তিনি কী করেন?
এটা খুব ভালো গুণ যখন প্রেমিক আপনার উদাস মনকে ভালো করার চেষ্টা করেন। আদর্শ বাবা হতে এই বিষয়টিই তাঁকে সাহায্য করবে। কারণ সন্তান কাঁদলে কিংবা বিরক্ত করলে বাবা হিসেবে তিনি সন্তানকে সামাল দিতে পারবেন।
আপনার সুখই কি তাঁর সুখ?
আপনার সুখেই যদি তিনি সুখী হন, তাহলে একই বিষয়টি সন্তানের ক্ষেত্রেও ঘটবে। তার মানে তিনি সংসারমুখী।