বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘পরিচ্ছন্ন হাত কেন এখনো গুরুত্বপূর্ণ?’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্টে মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জানা যায়, বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের সূচনা হয় ২০০৮ সাল থেকে। ওই বছর ১৫ অক্টোবর সুইডেনের স্টোকহোমে বিশ্ব পানি সপ্তাহে জিএইচপি বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দিবসটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা তৈরি ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য চালানো এটি একটি প্রচারণামূলক দিবস। বিশ্ব হাতধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন ও প্রচলন করা, প্রতিটি দেশে হাত ধোয়ার বিষয়ের নজর দেওয়া ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম
হাত ধোয়া কিংবা পরিষ্কার রাখা একটি ভালো অভ্যাস। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায়। হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত হাতের দুইদিক ভালোভাবে পরিষ্কার করি না। এটি ঠিক নয়। অ্যালকোহলযুক্ত সাবান দিয়ে হাত ধুলে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। আর সাধারণ সাবান ব্যবহার করলে ৪০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড ধুতে হবে।
হাতের এপিঠ-ওপিঠ ভালোভাবে ধুতে হবে। আঙুলের ফাঁক পরিষ্কার করা জরুরি। হাত ধোয়ার পর পানির কল বন্ধ করার সময় ডান হাত ব্যবহার করবেন না। টিস্যু দিয়ে বা বাঁ হাত দিয়ে বন্ধ করুন। সবাই যে তোয়ালে দিয়ে হাত মোছে, সেই তোয়ালে ব্যবহার না করাই ভালো। টিস্যু বা ব্যক্তিগত রুমাল ব্যবহার করুন।