গণঅধিকার পরিষদের ইসি ঘেরাও কর্মসূচি আটকে দিল পুলিশ, অভিযোগ নেতাকর্মীদের

নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু, পুলিশি বাধায় রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে গিয়ে সে যাত্রা পণ্ড হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে পদযাত্রাটি শেষ করে দলটির নেতাকর্মীরা এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বিজয় নগর কালভার্ট রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি পল্টন, জিরো পয়েন্ট, মৎস্যভবন, শাহবাগ হয়ে বাংলামোটর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়।
পুলিশের বাধায় বাংলামোটর মোড়ে অবস্থান নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে সাত দিনের সময় দিলাম। এ সময়ের মধ্যে ইসি যদি গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে ফাইনাল খেলা হবে।’
পুলিশকে উদ্দেশে নুর বলেন, ‘জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়, আওয়ামী লীগের টাকায় নয়। তাই এখন সময় আছে জনগণের কাতারে আসুন। এই সরকারের সময় শেষ। ’
নুর আরও বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন দিতে হবে। দলের কার্যালয় খুলে দিতে হবে আগামী সাত দিনের মধ্যে। না হলে আমরা নতুন কর্মসূচি দেব।’
আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বিরোধী দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেবে। পুলিশ যদি কর্মসূচিতে বাধা দেয়, হামলা করে তাহলে নেতাকর্মীরাও যা করার তাই করবেন।’
গণঅধিকার পরিষদের নতুন কার্যালয় কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নুর বলেন, ‘এরইমধ্যে কার্যালয় কেনার জন্য ৭৩ লাখ টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। আমরা এক থেকে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন কার্যালয় কিনব।’
নির্বাচন কমিশনকে স্বারকলিপি দিতে একটি প্রতিনিধি দল ইসি কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধি দলটি গণঅধিকার পরিষধকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি না মানলে আবারও ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরের অংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।