পঙ্গু হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগানোয় ২৪ জনকে সাজা
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) রোগীদের হয়রানি ও ভাগিয়ে বাইরের ক্লিনিকে নেওয়ার দায়ে ২২ দালাল ও দুই কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় র্যাব-২ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব ২-এর উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ আলী, উপপরিচালক মো. মাহবুব আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. মিরাজ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, আলম, আহসান হাবীব, মো. আমির হোসেন, দুলাল, জহির, মমিন মিয়া, রবিউল ইসলাম, রিনা বেগম, মঞ্জু মাহমুদ, জসীম, সজীব সরকার, আবুল কালাম আজাদ, মালেকা বেগম, আলাউদ্দিন, রাশেদ, সুমন, ফিরোজ আহমেদ, গোলাপী বেগম, সাহিদা বেগম, পারভীন বেগম, মো. হুমায়ুন কবির ও মাহফুজা বেগম।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এর মাধ্যমে তারা অসহায় রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, কিছু ক্লিনিক মার্কেটিং অফিসার পদে এই দালালদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। অভিযানকালে সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছয় দালালসহ ২২ জন এবং অর্থোপেডিক হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দালাল চক্রের ২২ সদস্য ও অর্থোপেডিক হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে ১৫ দিন থেকে চার মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।