ভাতিজাকে হত্যার পর নিজ ঘরেই মাটিচাপা!
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় নিখোঁজের চারদিন পর অপহরণকারীর ঘর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিশুর চাচাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাতে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুর নাম কামরান (৬)। সে উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামের প্রবাসী কয়েছ মিয়ার ছেলে। কামরান পাশের সরকারবাজার কিন্ডারগার্টেনে নার্সারিতে পড়ত।
আটক যুবকের নাম আল আমিন। তিনি শিশু কামরানের বাবা কয়েছ মিয়ার চাচাতো ভাই। তাঁরা একই বাড়িতে বসবাস করেন।
শিশু কামরানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় কামরান। পরে তার পরিবারের কাছে একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এক ব্যক্তি। এ ঘটনার পর কয়েছ মিয়ার খালাতো ভাই লিটন মিয়া গত ১ জুলাই ওই মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামি করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, মামলার পর ওই নম্বর ট্র্যাকিং করে গতকাল রাতে কয়েছ মিয়ার চাচাতো ভাই আল আমিনকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন জানান, মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু কামরানকে হত্যার পর মুখে পলিথিন মুড়িয়ে স্কচটেপ পেঁচিয়ে নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখেছেন। পরে তাঁর কথামতো এসপির নেতৃত্বে একদল পুলিশ গতকাল রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু কামরানের লাশ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল আমিনের পরিবারের আরো চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে।