চিরতরে চলে গেলেন প্রবাসীর সেই স্ত্রী
পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়ায় মাকে না পেয়ে তাঁর মেয়েকে বেধড়ক পিটিয়েছেন এক দোকানের মালিক ও তাঁর লোকজন। গুরুতর আহত প্রবাসী ওই স্ত্রী ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল শুক্রবার হাসপাতালে মারা গেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ শনিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম লাভলী আক্তার (২৩)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ডুবাইল এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী।
শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ও স্থানীয় লোকজন জানান, স্বামী প্রবাসে থাকায় লাভলী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকার তাঁর বাবা শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার কিছুদিন আগে লাভলীর মা খোরশেদা খাতুন স্থানীয় জৈনা বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে জানালার গ্রিল তৈরি করেন। গ্রিল তৈরির পাওনা দুই হাজার টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় গত ৩ মার্চ সকালে হাবিবুল্লাহ ওই টাকা চাইতে খোরশেদার বাড়ি যান। এ সময় পাওনা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাবিবুল্লাহর সঙ্গে খোরশেদার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বিকেলে হাবিবুল্লাহ কয়েকজন যুবককে নিয়ে খোরশেদার বাড়ি যান। তাঁরা খোরশেদাকে না পেয়ে লাভলীকে বেধড়ক মারধর করে চলে যান। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত লাভলীকে উদ্ধার করে স্থানীয় আল-হেরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুই দিন পর সেখান থেকে তাঁকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার লাভলী মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় লাভলীর মা বাদী হয়ে শনিবার শ্রীপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের হাবিবুল্লাহ, পারুল আক্তার ও লাকচতল গ্রামের কাওসার।