আমি দুঃখ প্রকাশ করছি : ডিআইজি মিজান
ট্যাক্স ফাইলে প্রদর্শিত সম্পদের বাইরে নিজের কোনো সম্পদ নেই বলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক একজন ভদ্রমহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এ জন্য আমি সরি। এটা আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ডিআইজি মিজানকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের ডিআইজি মিজান বলেন, তাঁর স্বজনদের সম্পদের ব্যাপারে সবারই স্ব স্ব ট্যাক্স ফাইল রয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে নারীঘটিত অভিযোগের ব্যাপারে ডিআইজি মিজান দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ অভিযোগের তদন্ত চলছে।
টেলিভিশনের একজন সংবাদপাঠিকার সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে ডিআইজি মিজান দুঃখ প্রকাশ করেন। অস্ত্রের মুখে ওই নারীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করাসহ নানা ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় গত জানুয়ারি মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি মর্যাদার) পদ থেকে মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযোগ ওঠে ওই সংবাদপাঠিকাকে হত্যার হুমকি দেন ডিআইজি মিজান। এ সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
অন্যদিকে দুদকের সচিব শামসুল আরেফিন জানিয়েছেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেওয়া হবে না।
শামসুল আরেফিন বলেন, ‘মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আয় বহির্ভূত যে সম্পদের যে অর্জন সে অর্জনটা বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে আমরা ডেকেছি।’
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ডিআইজি মিজান সকাল ৯টার সময় দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। এর কিছু সময় পরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।’
প্রণব কুমার জানান, মিজানের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ ও বদলির মতো বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব উপায়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ২৫ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ মোট ছয়টি সংস্থায় ডিআইজি মিজানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।