সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল বাইকচালকের লাশ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা থেকে নিখোঁজের দুদিন পর এক মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার পর একটি মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কে লাশটি ফেলে রাখা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আজিজ, আল-আমিন, রবিউল ও শরিফুল নামের চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪)। তিনি আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে। পেশায় ভাড়ার মোটরসাইকেল চালক ছিলেন জাহাঙ্গীর।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে স্থানীয় রবিউল, আল-আমিন ও আবদুল আজিজ ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার কথা বলে চালক জাহাঙ্গীরকে নদীর ঘাটে ডেকে আনে। এর পর থেকে জাহাঙ্গীর নিখোঁজ ছিলেন।
নিখোঁজ থাকায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সাথী বেগম বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনকে জানান এবং সন্দেহভাজন রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
‘পরে রবিউল চেয়ারম্যানের কাছে স্বীকার করেন যে, জাহাঙ্গীরকে হত্যার পর তাঁর লাশ স্থানীয় একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় তারা,’ যোগ করেন আশাশুনি থানার ওসি।
এ ঘটনায় আজিজ, আল-আমিন, রবিউল ও শরিফুলকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।