বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে টেনশনে বুক ধড়ফড় করছিল: ফিঞ্চ
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ মেনে নিলেন, বৃহস্পতিবারের বিশ্বকাপ ম্যাচে বাংলাদেশ তাঁদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে। ৩৮২ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ যে তাদের টেনশনে ফেলে দিয়েছিল মাঝেমধ্যেই, সেটা মেনে নিচ্ছেন অজি অধিনায়ক।
শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই চমকে দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়াকে। চারশত ছুঁই ছুঁই স্কোরকে তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৮ রানে ম্যাচটা হারে বাংলাদেশ। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১০২ রানের অসাধারণ ইনিংস ও মাহমুদুল্লার (৬৯) লড়াকু ব্যাটিংয়ের সাহায্যে তাঁরা অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয়বার হারানোর স্বপ্নপূরণে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিল। বাংলাদেশের ‘৩৩৩/৮’ একদিনে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বকালীন সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশ লড়াই করতে থাকে। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল (৬২) ও সাকিব আল হাসান (৪১) ৭৯ রান যোগ করে বুঝিয়ে দেন ‘বাংলা টাইগার্স’রা এত সহজে হার মানবেন না।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ফিঞ্চ জানান, যখনই কোনও পার্টনারশিপ এগোচ্ছিল, বুক ধড়ফড় করছিল। বাংলাদেশের প্রশংসার পাশাপাশি নিজের দল সম্পর্কেও উচ্ছ্বসিত ছিলেন অজি দলপতি।
তিনি বলেন, ‘আমরা দারুণ ভাবেই ধারাবাহিক রয়েছি। আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যাট ও বলে ভালো জুটি বাঁধাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পয়েন্ট টেবিলে তারাই এখন শীর্ষে। তবে ফিঞ্চ বলেন, ‘সেমিফাইনাল নিয়ে এখনই ভাবছি না। তবে আশার কথা আমরা প্রথম চারে জায়গা ধরে রেখেছি।'
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ১৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। উসমান খোয়াজাও করেন ৮৯ রান। শেষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান।
ওয়ার্নারের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। ওয়ার্নার ও অন্য অজি ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা মাঠে ৪০-৫০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। তা না হলে রান তাড়া করাটাই অন্য রকম হতে পারত।’
ছয় ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে শেষ চারে যেতে হলে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে মুশফিকুরদের। তাঁরা সেটা করতে পারুন বা না পারুন, ইংল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশ প্রমাণ করতে পেরেছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যে কোনও দলকে বেগ দিতে তারা প্রস্তুত। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে জয়ের পরে ক্যাঙারুদের সঙ্গেও দুরন্ত পারফরম্যান্স তারই প্রমাণ।