সাংবাদিক মাসউদুরের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর নাতির জিম্মা নিয়ে করা মামলার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার মাসউদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা সাত দিনের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)। আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ফটকে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি মাশহুদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান, সহ-সভাপতি ওসমান গণি বাবুল, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, জার্মান নিউজ এজেন্সি ডিপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠু, এলআরএফের সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান, সদস্য শংকর মৈত্র, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, ডিআরইউয়ের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন, মঈন উদ্দিন খান, এলআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম দিদার, সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম পান্নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রফিকুল হাসান (হাসান জাবেদ), যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম, ডিআরইউয়ের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান, এলআরএফের সদস্য তানভীর আহমেদ, মেহেদী হাসান ডালিম ও এস এম আশিকুজ্জামান।
বক্তব্যে মাশহুদুল হক বলেন, গত এক যুগ ধরে দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর অনেক সুনাম রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলের করা এই মানহানির মামলা প্রতিমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। আমরা সাত দিনের মধ্যে এই মামলা প্রত্যাহারে প্রতিমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলনে গেলে প্রতিমন্ত্রীর সুনাম আরও ক্ষুন্ন হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে মুশফেক বিবাদী করে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন মুসফেক আলমের সাবেক স্ত্রী তাসনোভা ইকবাল। মামলায় মাকে দেখতে না দিয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ১৭ মাস ধরে আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
হাইকোর্টে করা এই রিভিশন মামলা নিয়ে গত ২২ অক্টোবর চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক মাসউদুর রহমান প্রতিবেদন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২৫ অক্টোবর চ্যানেল ২৪, চ্যানেলটির বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদক মাসউদুর রহমানসহ পাঁচজনের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মুশফেক আলম সৈকত।
এরপর মামলাটি নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত।