‘অটো চয়েজ’ মুস্তাফিজ বাংলাদেশকে ডোবাবেন না তো?
বাংলাদেশের বোলিং বিভাগের প্রাণ ভোমরা ধরা হতো মুস্তাফিজুর রহমানকে। এখনও তাঁর প্রশংসায় ভাসে ক্রিকেট দুনিয়া। কদিন আগে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা স্লোয়ার পেসার হিসেবে তাঁকে সমীহ করেছে। কিন্তু এই সমীহ আর ভয় এক নয়!
যে মুস্তাফিজকে ভয় পেতো ক্রিকেটের বাঘা বাঘা ব্যাটাররা, তাঁকে এখন চোখ রাঙায় গড়পড়তা দলগুলোও। এই যেমন—চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের কথাই বলা যাক। পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল শুক্রবার মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন! এরচেয়েও বড়ো কথা, একটি বলেও মনে হয়নি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে পাক ব্যাটাররা। আরেকটু পেছনে গেলে দেখা যায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৪ ওভারে ৫০ রান!
বল হাতে এত বিবর্ণ মুস্তাফিজ তবু বাংলাদেশ দলের অটোচয়েজ। দলের প্রথম ফাস্ট বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। অথচ গত এক বছর ধরে মলিন মুস্তাফিজ নিজেও যে চেষ্টা করছেন উন্নতির, তা চোখে পড়েনি। নতুন কিংবা পুরাতন, কোনো বলেই এতটুকু ধার নেই তাঁর।
সর্বশেষ ১ বছরে ২১ ম্যাচে ১৮ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। এই সময়ে ন্যূনতম ১০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে খারাপ গড় তাঁর। উইকেট প্রতি খরচ ৩৩ এর বেশি। ৮.৬৬ ইকোনমিতে ওভারপ্রতি রান খরচও অন্য পেসারদের চেয়ে বেশি।
মুস্তাফিজ ফিরবেন, সেটি বিশ্বাস করে বিসিবি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তাঁর পারফরম্যান্স মন্দের ভালো। শেষ ৪ ম্যাচে ইকোনমি সাড়ে পাঁচ। তবে খেলা যখন বিদেশে, খেই হারান কাটার মাস্টার। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যদি তাঁকে ছন্দে না দেখা যায় তাহলে দলে তাঁর জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে সত্যি সত্যি। নয়তো এভাবে ‘অটো চয়েজ’ হয়ে থাকলে বারবারই বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ হতে পারেন এই বাঁহাতি পেসার।