আগামী ৪ মার্চ নিউজিল্যান্ডে শুরু হচ্ছে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে নামছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত সালমা-জাহানারারা। আসরটি স্মরণীয় করে রাখতে উন্মুখ পুরো বাংলাদেশ শিবির।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা টুর্নামেন্টে ভালো করতে আশাবাদী।

২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ নারী দল। ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে এই সাফল্য পেয়েছিল তারা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম হলেও, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চারবার খেলেছে বাংলাদেশ।

আসরে ভালো করতে আশাবাদী নিগার সুলতানা বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। এটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ। এখানে ভালো  করতে পারাটা  বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় একটি সুযোগ।’ 

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ। মূল মঞ্চে নামার আগে অনুশীলন সেশন ভালো হয়েছে বলে জানান নিগার। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন সেশন করেছি। উইকেট ও কন্ডিশন বোঝার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, মেয়েরা খুব ভালো করেছে।’

টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আট দলের মধ্যে স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর ২০১৭-২০ সালের মধ্যে আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকায় ওপরের দিকে থাকায় বিশ্বকাপে খেলার টিকেট পায় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।

তবে বাছাইপর্ব খেলতে হয়েছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলগুলোকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় জিম্বাবুয়ের মাটিতে হওয়া বাছাইপর্ব মাঝপথেই বাতিল হয়। তবে নারীদের ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে থাকায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়।

আগামী ৫ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ নারী দল। এরপর আরো ছয়টি ম্যাচ খেলবে তারা। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড হবে লিগ পদ্ধতিতে। সেখানে প্রতিটি দল অন্য সব দলের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। লিগ পর্ব শেষে সেরা চার দল সেমিফাইনালের খেলার টিকেট পাবে। ক্রাইস্টচার্চে ৩ এপ্রিল ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে আসর।

মূল মঞ্চে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামীকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ।