আইসিসির ‘চ্যাম্পিয়নস কাপ’ নিয়ে ঘোর আপত্তি ভারতের
‘চ্যাম্পিয়নস কাপ’ নামে নতুন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ দল নিয়ে হওয়ার কথা এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু আইসিসির প্রস্তাবিত নতুন টুর্নামেন্ট নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আইসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৪ ও ২০২৮ সালে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস কাপ। ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নস কাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ ও ২০২৯ সালে।
একই সময়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ও ২০৩০ সালে। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ ও ২০৩১ সালে। এই আয়োজনের নিলামে অংশ নেওয়ার আগ্রহ নিয়ে সদস্য দেশগুলোকে গত সপ্তাহে বার্তা পাঠিয়েছে আইসিসি।
কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সমস্যা হবে বলে আইসিসির পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। গত বছর অক্টোবরে যখন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তখনই লিখিতভাবে নিজেদের আপত্তির কথা জানায় তারা। বিসিসিআইর প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, আইসিসি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে।
আইসিসির মূল ঘোষণার পর বিসিসিআইর পক্ষ থেকে এখন বলা হচ্ছে, ‘আইসিসির সূচি চূড়ান্ত করার আগে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বিষয় ফয়সালা করা উচিত। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। ধরুন, গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডগুলো দরপত্র জমা দিল না। তখন কি আইসিসি নিজেদের মতো করে ইভেন্ট আয়োজন করবে? প্রতিবছর আইসিসি ইভেন্টের পরিকল্পনা বিশ্ব ক্রিকেটের কোনো কাজে আসে না। আইসিসিকে এটা বুঝতে হবে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা আইপিএল, বিগব্যাশে প্রভাব রাখবে। কোনো ফাঁকা সূচি থাকবে না। আর খেলোয়াড়েরাই বা কত খেলবে?’
সত্যিকার অর্থে আইসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব ইভেন্ট মাঠে গড়ালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ অনেক কমে যাবে এবং যার ফলে বিত্তবান হিসেবে পরিচিত বোর্ডগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
এ ছাড়া নারী টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নস কাপও আয়োজন করতে চায় আইসিসি। বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনে প্রস্তাবনায় আইসিসির নির্ধারিত শর্তাবলির অধীনে প্রতিটি আসরের আয়োজক দেশ টিকেট, আতিথেয়তা এবং খাদ্যের রাজস্ব পাবে। আর আইসিসি প্রতিটি ইভেন্টের অন্য সব বাণিজ্যিক ও সম্প্রচারের অধিকার অব্যাহত রাখবে।