আক্ষেপের আগুনে পুড়ছেন এমবাপ্পে
খেলার মাঠে কত কিছুই না হয়। আজ তারকা তো কাল ভিলেন। যেমনটা দেখা গেল কাল ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে। বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা তারকা খেলোয়াড় এক মুহূর্তে বনে গেলেন ভিলেন। বলা হচ্ছে, ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের কথা। গতকাল সোমবার রাতে তাঁর গোল মিসের জন্য ইউরো থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
এবারের ইউরোর সবচেয়ে ফেভারটি দল ধরা হয়েছিল ফ্রান্সকে। তাছাড়া নকআউট পর্বের সবচেয়ে ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ ধরা হয়েছিল ফ্রান্স ও সুইজাল্যান্ডের লড়াইকে। কিন্তু কখনো কখনো রূপকথাও যে সত্যি হয় সেটার প্রমাণ দিল সুইসরা। দীর্ঘ ম্যারাথন লড়াই শেষে ফ্রান্সকে চমকে দিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল সুইজারল্যান্ড।
শেষ ষোলোর ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে খেলা ৩-৩ গোলে সমতা থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল হয়নি। পরে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জয় পায় সুইসরা। আর ফ্রান্সের হয়ে একমাত্র গোলটি মিস করেন এমবাপ্পে। বড় মঞ্চে নিজের এমন ব্যর্থতার জন্য আক্ষেপে পুড়ছেন ফরাসি তারকা। ম্যাচ শেষে তাই ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে ভুল করলেন না তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় এমবাপ্পে লিখেছেন, ‘বাদ পড়ার কষ্ট প্রবল, আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এই গোল মিসের জন্য আমি দুঃখিত। দলকে সহায়তা করতেই চেয়েছিলাম আমি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। ঘুমানো কঠিন হবে এখন। তবে যে খেলাটাকে এত ভালোবাসি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে এমন উত্থান-পতন থাকেই। আমি জানি, সমর্থকরা হতাশ। তারপরও তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই সমর্থনের জন্য ও সবসময় বিশ্বাস রাখার জন্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, পরের লড়াইয়ের জন্য আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসা। সুইজারল্যান্ডের জন্য অভিনন্দন ও শুভ কামনা।’
এবারের ইউরোতে মোটেই উজ্জ্বল ছিলেন না এমবাপ্পে। গ্রুপ পর্বে একটিও গোল করতে পারেননি তিনি। গোল করতে পারেননি সুইসদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে। এই বাজে সময়ে অবশ্য কোচ দিদিয়ের দেশমের সমর্থন পাচ্ছেন পিএসজি তারকা। কাল ম্যাচ শেষে এমবাপ্পের খারাপ সময় নিয়ে ফরাসি কোচ বলেন,‘ওর ওপর কেউই বিরক্ত নয়। আপনি যখন দায়িত্ব নিয়ে কোনো একটা কাজ করতে যাবেন, এমনটা হতেই পারে। গোটা ব্যাপারটা ওর ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।’
সতীর্থ হুগো লরিসকেও পাশে পেয়েছেন এমবাপ্পে। ম্যাচ শেষে বইন স্পোর্টসকে লরিস বলেন, ‘আমরা জিতলে একসঙ্গে জিতি, হারলে একসঙ্গে হারি। টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার জন্য আমরা সবাই দায়ী। নির্দিষ্ট কারো ওপর আঙুল তুলছি না। কিলিয়ানের ওপর কেউ রাগ করছে না। কারণ আমাদের একসঙ্গে অনেক ভালো স্মৃতি আছে আবার দুঃখও আছে।’