টাইব্রেকারে সুইসদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আরও একটি জমজমাট ম্যাচ দেখতে পেল ফুটবল ভক্তরা। প্রথম সেমিফাইনালের রাতে জোড়া ম্যাচে তুমুল লড়াইয়ের পর সুইজারল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচের ভাগ্যও নির্ধারণ হলো টাইব্রেকারে।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ১০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের গোল, পাল্টা গোল। তাতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১! ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত ইংল্যান্ডের। ১২০ মিনিট লড়াইয়ের পর সুইসদের কাঁদিয়ে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় নিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশরা।
ডুসেলডর্ফে শনিবার তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। পুরো ম্যাচে দুদলই আক্রমণ ও লড়াইয়ে ছিল প্রায় সমানে সমান। ম্যাচের ৫২ভাগ সময় বল দখলে রাখে ইংল্যান্ড। সুইসরা রাখে ৪৮ ভাগ। এই সময়ে ইংলিশদের ১৩বার আক্রমণের বিপরীতে ১১বার আক্রমণে যায় সুইজারল্যান্ড।
তবে কিছুতেই মিলছিল না গোল। বিরতি থেকে ফিরে দুদলই ১০ মিনিটের মধ্যে পেয়ে যায় জালের দেখা। কিন্তু যাতেও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ম্যাচের প্রথম গোলটি পায় সুইসরাই। ৭৫তম মিনিটে ইংলিশ ভক্তদের স্তব্ধ করে লিড নিয়ে নেয় সুইজারল্যান্ড। ডি বক্সের ডান দিক থেকে ফাবিয়ান শারের পাসে বলে পা ছোঁয়ালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনস, দুরের পোস্টে হালকা স্লাইড করে ডেড লক ভাঙেন ব্রেল এমবোলা।
কিন্তু এই স্বস্তি স্থায়ী হলো না বেশিক্ষণ। প্রথমার্ধ জুড়ে সাদামাটা ইংল্যান্ড পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন গল্প লিখল। ম্যাচের ৮০তম মিনিটেই সুইসদের উচ্ছ্বাস কেড়ে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান সাকা। ডেকলান রাইসের পাস ধরে একটু আড়াআড়ি এগিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে বল ঠিকানায় পাঠান আর্সেনাল ফরোয়ার্ড।
এরপর স্কোরলাইন ১-১ নিয়েই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও মেলেনি জালের দেখা। অবশেষে টাইব্রেকারে ফল নির্ধারণ হয়। যেখানে সুইসদের একটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। পেনাল্টি শুটআউটে মানুয়েল আকনজির দুর্বল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান পিকফোর্ড। ইংল্যান্ডের পাঁচ শটের সবগুলোই যায় জালে। তাতে জয়ের উল্লাস নিয়েই মাঠ ছাড়ে গেলবারের রানার্সআপরা।