আফিফের লড়াইয়ের পরও বড় পুঁজি পেল না বাংলাদেশ
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটাররা। আজ রোববার জোহানেসবার্গে সেই ব্যাটাররাই করেছেন চরম হতাশ। কাগিসো রাবারদার বোলিং তোপে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। সেখান থেকে দলকে পথ দেখান আফিফ হোসেন। লড়াকু ব্যাটিংয়ে উপহার দেন চমৎকার ইনিংস। তাঁর একার লড়াইয়ের পরও বড় পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে লাল-সবুজের দল।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৯৪ রানে তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন আফিফ হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে দারুণ খেলা রাবাদা একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
জোহানেসবার্গে ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বিশেষ কিছু। কারণ স্তন ক্যানসারের সচেতনতা বাড়াতে আজ গোলাপি জার্সি পরে খেলছেন প্রোটিয়ারা। পরিসংখ্যান বলছে, পিংক ডেতে তাদের মাঠের পারফরম্যান্সও ভালো। আজকের ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও তাই দেখা গেল।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে টিকতেই দিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৪ রানেই অধিনায়ক তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। লুঙ্গি এনগিডির ডেলিভারি মোকাবিলা করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তামিম। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের উচ্ছ্বাসে ভাসালেন কেশব মহারাজ। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা তামিম এদিন করেন মাত্র ১ রান।
ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আজ হাল ধরতে পারলেন না। রাবাদার বল লেগে ঘুরানোর চেষ্টা করে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সহজ ক্যাচ নিয়ে সাকিবকে শূন্যতে বিদায় করেন কাইল ভেরেইনা।
ওয়ান্ডারার্সের ইনিংসের শুরুতে থেকেই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে বাড়তি বাউন্স। যার খেসারত দিলেন লিটনও। রাবাদার বল অনেকটা লাফিয়ে লিটনের গ্লাভসে লেগে উপরে উঠলে ক্যাচ নিয়ে নেন কুইন্টন ডি কক। ১৫ রানে থামে তাঁর ইনিংস।
বাড়তি বাউন্সের বল মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছেন ইয়াসির রাব্বিও। জীবন পেয়েও টিকতে পারেননি তিনি। ফিরেছেন ২ রানে। এরপর এলবির ফাঁদে পড়ে ১২ রানে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। রাবাদা-এনডিগিদের বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন আফিফ-মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে গড়েন ৬০ রানের জুটি। কিন্তু আর বড় হওয়ার আগেই জুটি ভাঙেন শামসি। তিন বাউন্ডারিতে ৪৪ রানে ২৫ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহ ফিরলেও উইকেটে টিকে ছিলেন আফিফ। স্রোতের বিপরীতে থাকা আফিফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। নির্ভার থাকা আফিফ মিরাজকে নিয়ে লম্বা সময় লড়াই করেন। তাঁর ব্যাটে চড়েই মোটামুটি সম্মানজনক স্কোর পায় বাংলাদেশ। ৭২ রানের ইনিংস খেলে থামে আফিফের ইনিংস। ১০৭ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি। মিরাজ খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ১৯৪/৯ (তামিম ১, লিটন ১৫, সাকিব ০, মুশফিক ১৫, ইয়াসির ২, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ৭২, মিরাজ ৩৮, তাসকিন ৯, মুস্তাফিজ ২, শরিফুল ২ ; রাবাদা ১০-০-৩৯-৫, শামছি ১-০-২৬-১, কেশব ১০-০-৫৭-০, বাভুমা ৬.১-০-২২-০, এনডিগি ১০-২-৩৪-১, পার্নেল ২.৫-০-৬-১)।