ব্যাটিং দুর্দশায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
ভারতের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ক্ষত এখনও দগদগে। সেই ক্ষতের মাঝেই যোগ হলো নতুন লজ্জা! ভারতের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রোটিয়াদের কাছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আজ বৃহস্পতিবার টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ সেশনে এসে হারের লজ্জায় ডোবে বাংলাদেশ। টানা দুই পরাজয়ে অতিথিদের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
ইনিংস ও ২৭৩ রানের এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। আগের রেকর্ডটিও অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৭ সালে ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অন্যদিকে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় হার এটি। ২০০২ সাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩১০ রানের জয় সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার।
আজ চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সকালে ব্যাট হাতে ধুঁকেছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দিনের ৩৮ রানে চার উইকেট নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত-মুমিনুল। তবে, সকালের শুরুটা হয়েছে বিবর্ণ। প্রোটিয়া পেসারদের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি কেউ। উইকেট বিলিয়ে এসেছে নিয়মিত বিরতিতে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে শুরু হয় আজ সকালে আসা যাওয়ার মিছিল। কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে কাইল ভেইরেনের ক্যাচ হয়ে বিদায় নেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। ক্রিজে এসে টিকতেই পারলেন না মুশফিকুর রহিম। দুই বলে শূন্য রানে শিকার হন ডেন প্যাটারসনের। তার ক্যাচ নেন টনি ডি জর্জি। দিনের তৃতীয় ও দলের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। বিপদ বাড়িয়ে মাত্র তিন বল খেলে এক রান করেন তিনি। কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে কাইল ভেইরেনের ক্যাচ হয়ে শান্তর মতো বিদায় নেন তিনিও। ফলোঅন নিশ্চিতের পথে অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও পারেননি সুবিধা করতে। রাবাদার বলে লেগবিফোর হন রানের খাতা খোলার আগেই। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটে ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ফলোঅনে নেমেও সেই ব্যাটিং দুর্দশা। এবার বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। দলের হয়ে কেউই পারেননি হাল ধরতে। ফলে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের পরাজয়।