বাংলাদেশকে ফলোঅনের লজ্জায় ফেলল প্রোটিয়ারা
শঙ্কা ছিল শতরানের আগে অলআউটের লজ্জায় পড়ার। মুমিনুল হকের বদান্যতায় সেটি হয়নি। তবে, ফলোঅন এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। যেতে পারেনি ধারেকাছেও। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৫৭৫ রান। ফলোঅন ঠেকাতে স্বাগতিকদের করতে হতো ৩৭৫ রান। বাংলাদেশ অলআউট ১৫৯ রানে। তাতে, প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের লিড ৪১৬ রানের।
৪৮ রানে আট উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছিল, ঠিক তখন হাল ধরেন মুমিনুল ও তাইজুল। দুজনের জুটিতে আসে ১০৩ রান৷ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রান আসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। মুথুসামির বলে লেগবিফোর হন তিনি। তাইজুল করেন ৩০ রান। শেষ ব্যাটার হিসেবে কেশব মহারাজের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন তাইজুল।
এর আগে, চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সকালে ব্যাট হাতে ধুঁকেছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দিনের ৩৮ রানে চার উইকেট নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত-মুমিনুল। তবে, সকালের শুরুটা হয়েছে বিবর্ণ। প্রোটিয়া পেসারদের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি কেউ। উইকেট বিলিয়ে এসেছে নিয়মিত বিরতিতে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে শুরু হয় আজ সকালে আসা যাওয়ার মিছিল। কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে কাইল ভেইরেনের ক্যাচ হয়ে বিদায় নেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। ক্রিজে এসে টিকতেই পারলেন না মুশফিকুর রহিম। দুই বলে শূন্য রানে শিকার হন ডেন প্যাটারসনের। তার ক্যাচ নেন টনি ডি জর্জি। দিনের তৃতীয় ও দলের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। বিপদ বাড়িয়ে মাত্র তিন বল খেলে এক রান করেন তিনি। কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে কাইল ভেইরেনের ক্যাচ হয়ে শান্তর মতো বিদায় নেন তিনিও। ফলোঅন নিশ্চিতের পথে অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও পারেননি সুবিধা করতে। রাবাদার বলে লেগবিফোর হন রানের খাতা খোলার আগেই। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটে ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।