গল্পটা ভিন্ন হতে পারত, হতাশা নিয়ে বললেন মাহমুদউল্লাহ
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যায় বাংলাদেশ। পথচলার শুরুতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্কটল্যান্ড। প্রথম পর্বে ওই হারের পরও ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ, মূল পর্বে ওঠে। কিন্তু মূল পর্বে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও জিততে পারেনি লাল-সবুজের দল। টানা চার ম্যাচ হেরে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
মূল পর্বে অন্তত দুটি ম্যাচ জেতার সুযোগ পয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি জয়ের কাছেও চলে গিয়েছিল। কিন্তু দুটিতেই তীরে এসে তরি ডুবে বাংলাদেশের। আজ চতুর্থ ম্যাচে ব্যর্থতার পর হতাশা নিয়ে সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরেন মাহমুদউল্লাহ। জানান, দুটি ম্যাচ জিততে পারলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত।
আজ আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ছয় উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি, শুরুর দিকে বোলিংয়ে ভালো করার জন্য উইকেট খুব ভালো ছিল। মাঝখানে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমাদের ব্যাটিংলাইন খুব দুর্বল ছিল। যদিও ভেবেছি পিচ সাহায্য করবে। কিন্তু সেটা হয়নি। তাসকিনের কথা বলতে হয়। পুরো টুর্নামেন্টে সে ভালো বোলিং করেছে। তাই আজ তাসকিনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।’
টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘টুর্নামেন্টে এই ফল খুবই হতাশাজনক। আমরা দুটি ম্যাচ জিততে পারতাম। যদি আমরা সেগুলো জিততে পারতাম তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো।’
এদিন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮৪ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মেহেদী হাসান। আর ৩৬ বলে ২৪ রান করেন লিটন দাস।
জবাবে ৩৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩.২ ওভারে ৮৬ রান করে তারা। এই ছোট পুঁজি নিয়েও শুরুতে কিছুটা লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা লড়াইয়ে রাখেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ছোট পুঁজি নিয়ে এই লড়াইয়ে জেতা যথেষ্ট ছিল না। চার উইকেট হারালেও জয় ঠিকই তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৩১ রান করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এ ছাড়াও ২৭ বলে ২২ রান করেন রাসি ফন ডার ডাসেন।