জয়ের জন্য চট্টগ্রামের চাই ১৫৮ রান
ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি জেমকন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। তবে ছোট ইনিংসে মোটামুটি সবাই অবদান রেখেছেন। জহুরুল, মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগতদের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারকাবহুল খুলনা।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন শুভাগত হোম।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে খুলনা। কিন্তু সেই ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ৪.৪ ওভারে শরিফুলের বলে ফেরেন জাকির হোসেন। তিনি করেন ১৫ রান।
জাকিরের ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেনি জহুরুল ও সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় উইকেটের জুটি। শরিফুল ইসলামের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জহুরুল। তিনি ১৯ বলে ২৬ রান করেন। ৫২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ২৬৬ দিন পর ক্রিকেটে ফেরা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর ফেরাটা সুখকর হয়নি। ৭.৩ ওভারে সাকিবের নেওয়া ড্রাইভ বোলারের হাতে লেগে স্টাম্প হয়ে যায়। ওই মুহূর্তে ক্রিজ থেকে বাইরে ছিলেন মাশরাফী। ফলে রানআউট হয়ে ফিরে যেতে হয়ে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ককে।
এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় আউট হন সাকিব। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা সাকিব ১৬ বলে করেন ১৫ রান।
আশা জাগিয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। ২৬ রানে তাঁকে সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। এর মধ্যে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চার হাজার রানের ঘরে প্রবেশ করেন মাহমুদউল্লাহ। শামীম হোসেনকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। শেষের দিকে শুভাগত হোমের ৩২ রানে ভর করে ১৫৭ রান করে খুলনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জেমকন খুলনা : ২০ ওভারে ১৫৭/৯ (জহুরুল ২৬, জাকির ১৫, সাকিব ১৫, মাশরাফী ১, ইমরুল ২৪, মাহমুদউল্লাহ ২৬, আরিফুল ৬, শামীম ৫, শুভাগত ৩২, হাসান ০; নাহিদুল ৩-০-২১-০, রাকিবুল ৪-০-২৩-০, শরিফুল ৪-০-৩৪-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৬-২, ২-০-১৮-১)।