দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জয়টা এখনো অধরা বাংলাদেশের। এই অধরা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রোটিয়া বদের মিশনে নেমেছে লাল-সবুজের দল। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম জয়ের আশায় আগে ব্যাট করে বেশ চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব-লিটন ও রাব্বিদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩১৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এবার বল হাতে প্রোটিয়াদের থামাতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম জয়ের ইতিহাস গড়বে লাল-সবুজের দল।
সেঞ্চুরিয়নে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে রান তুলতে বেশ ভোগে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদা-এনগিডিদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য বেশ লড়াই করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
দুজনে মিলে উইকেটে টিকে থাকেন লম্বা সময়। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেটা ওপেনিং জুটিতে তো বটেই যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
অবশেষে ২২তম ওভারেই জুটি ভাঙেন আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো। প্রোটিয়া বোলারের অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে সুইং করে আসা বল লেগে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু পারেননি, উল্টো পড়েন এলবির ফাঁদে। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন তামিম, কিন্তু তাতে রক্ষা পাননি। ফেরার আগে ৬৭ বলে ৪১ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তামিম ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকলেন না লিটন দাসও। পরের ওভারেই হাফসেঞ্চুরি করে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। তাঁকে বিদায় করেন কেশব মাহারাজ। তামিমের সমান ৬৭ বল খেলে এক ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫০ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
দুই ওপেনার ফেরার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাকিব ও মুশফিক। তবে এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মুশফিককে ফিরিয়ে ২০ রানে এই জুটি ভাঙেন কেশব। ১২ বলে ৯ রান করা মুশফিককে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান কেশব।
মুশফিক ফিরলেও টিকে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে ১১৫ রানের চমৎকার জুটি উপহার দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এই জুটি গড়ার পথেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চাশতম হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সাকিব। ফেলুকওয়ায়োর বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে যান পঞ্চাশের ঘরে। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ৫০তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানে ভাঙে সাকিবের প্রতিরোধ। এনগিডির এলবির ফাঁদে পড়ে ফেরেন সাকিব। ৬৪ বলে সাত বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় সাজানো ছিল সাকিবের ইনিংসটি।
সাকিবের সঙ্গে থাকা রাব্বিও দারুণ খেলেন। তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ঠিক ৫০ ছুয়েই আউট হন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। সাকিব-ইয়াসির ফিরলে শেষ দিকের ব্যাটারের ওপর চড়ে ৩১৪ রানে সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩১৪/৭ (তামিম ৪১, লিটন ৫০, সাকিব ৭৭, মুশফিক ৯, ইয়াসির ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ১৭, মিরাজ ১৯ , তাসকিন ৭; কেশব ১০-০-৫৬-২, রাবাদা ১০-০-৫৭-১, এনগিডি ১০-১-৭৫-১, ফেলুকওয়ায়ো ১০-১-৬৩-১, মার্কো ১০-১-৫৭-২)।