দলে ফেরার অনুমতি পেলেন আর্চার
জৈব-নিরাপত্তাবলয়ের নিয়ম ভেঙে গত কয়েক দিন হোটেলরুমে সংগনিরোধে ছিলেন জফরা আর্চার। এর মধ্যে দুবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে তাঁর। দুবারই ফল নেগেটিভ এসেছে। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে দলে ফেরার অনুমতি পেলেন ইংলিশ পেসার।
প্রথম টেস্ট শেষে করোনাভাইরাসের জৈব সুরক্ষা নিয়ম ভাঙেন আর্চার। ম্যাচ শেষে ব্রাইটনে নিজের ফ্ল্যাটে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দল থেকে বাদ পড়েন আর্চার। বাদ পড়েন দ্বিতীয় টেস্ট থেকেও। আরো বড় শাস্তিও হতে পারত। শেষ পর্যন্ত জরিমানা দিয়ে বেঁচে যান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকার পর ফেরার অনুমতি পেয়েছেন আর্চার।
অবশ্য এ পাঁচ দিনের মধ্যে শেষ দুদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি নিয়ে রানিং ও নেট অনুশীলন করার সুযোগ পান আর্চার। সেটাও ছিল সকাল ৭টা থেকে। দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে আসার আগেই অনুশীলন শেষ করতে হয় তাঁকে। এ সময় মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হয়েছে এই পেসারকে। একা একাই নেটে অনুশীলন করেছেন।
এই প্রথম বোর্ডের নিয়ম ভেঙেছেন আর্চার। নিজের ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। ইসিবির পাঠানো এক বিবৃতিতে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আর্চার বলেন, ‘আমি যা করেছি তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। শুধু নিজেকে নয়, পুরো দল এবং টিম ম্যানেজমেন্টকেও বিপদে ফেলে দিয়েছি। আমার এই কাজের কারণে দেওয়া সব শাস্তি ও পদক্ষেপ মেনে নিচ্ছি আমি। বায়োসিকিউর বাবলে থাকা সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। সিরিজের এ অবস্থায় বাদ পড়ার কষ্ট অনেক বেশি। আমার মনে হচ্ছে, দুই দলকেই বিপদে ফেলেছি। আবারও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
এ ঘটনার পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পরিচালক অ্যাশলে জাইলসও মনে করেন, আর্চারের ভুলের কারণে কোটি কোটি পাউন্ড ক্ষতি হতে পারত বোর্ডের।