নিউজিল্যান্ডের সামনে ছোট লক্ষ্য বাংলাদেশের
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানে ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। শুরুর এই ধাক্কা সামলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের ব্যাটে ভালোই খেলছিল লাল-সবুজের দল। তবে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাই দ্রুত উইকেট হারিয়ে যে চাপে পড়ে বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত তা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দেয় সাকিব-শান্তরা।
ম্যাচে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ। দু’একজন ছাড়া কেউই খুব একটা সুবাধা করতে পারেনি। মিরাজ ৫ বলে ৫ রান প্রথম আউট হন। এর পর শান্ত ও লিটন জুটি আশা দেখান। কিন্তু দলীয় ৫৩ রানের মাথায় লিটন ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এর পরই শান্ত ২৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। উইকেটে বেশিক্ষণ ছিলেন না মোসাদ্দেক হোসন সৈকত। তিনি ৪ বলে ২ রান করেন।
শেষ দিকে আফিফ ২৬ বলে ২৪, সাকিব ১৬ বলে ও সোহান ১২ বলে ২৫ রান না করলে এই সংগ্রহ গড়া সম্ভব হতো না।
এর আগে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারা সাকিব আল হাসান একাদশে ফিরেছেন। একাদশে নেই সাব্বির রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
অবশ্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। এই ফরম্যাটে দুই দল ১৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়। বাংলাদেশ মাত্র তিনটিতে জিতেছে। বাকি সবকটিতে হেরেছে। শুধু তাই নয়, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাতটি টি-টোয়েন্টির সবকটিতেই হেরেছে লাল-সবুজের দল।
অবশ্য এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর আগ পর্যন্ত কিউইদের মাটিতে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাফল্য পায়নি তারা।