ফেভারিট ফিলিস্তিনের সামনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম ফিলিস্তিনের ম্যাচের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার পর্দা উঠছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের। গেল আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়েই শিরোপা জয়ের মঞ্চে উঠেছিল ফিলিস্তিন। এবার সেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই দিয়েই আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৫টায়।
গেল আসরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মুকুট পরেছে ফিলিস্তিন। এবার গ্রুপ পর্বেই সেই চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে ফিলিস্তিনকে ফেভারিট মানলেও চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিকরা।
যেমনটা বলছিলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। প্রতিপক্ষকে ফেভারিট মেনেই জয়ের ছক আঁকছেন জেমি ডে, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দেব। আশা করি, গ্রুপের দুই ম্যাচেই আমরা ভালো করতে পারব এবং সেমিফাইনালে উঠতে পারব। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং বড় অভিজ্ঞতা নেওয়ার উপলক্ষ। নতুন বছরটা আমরা ইতিবাচকভাবে শুরু করতে চাই। জীবন ও বাদশা অসুস্থতার কারণে টুর্নামেন্টে খেলতে পারছে না। কিন্তু এটা সেরা একাদশে থাকা নতুনদের জন্য সুযোগ। এ টুর্নামেন্টে যতদূর সম্ভব যাওয়ার জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি। প্রথম ম্যাচটি কঠিন, কিন্তু ছেলেরাও আত্মবিশ্বাসী। আমরা খুবই ইতিবাচক।’
কাগজে-কলমে ফিলিস্তিন যে এগিয়ে, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচই জিততে চাই। কাগজে-কলমে ফিলিস্তিন শক্তিশালী দল। গতবার ওদের যে দলটি খেলে গিয়েছিল, এটা সেই একই দল নয়। তবে এ দলে টেকনিক্যালি অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। তাঁদের অনেকে বাহরাইনে অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে। নিজেদের মাঠে খেলার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমাদের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু তারপরও ফিলিস্তিন ফেভারিট।’
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের মতো পারফরম্যান্স করলেও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে জেতা সম্ভব বলে মনে করেন ইংলিশ কোচ, ‘ভারত, কাতার এবং ওমান ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মতো পারফরম্যান্স যদি এখানে আমরা করতে পারি, তাহলে ফিলিস্তিনের জন্য আমরা পরিস্থিতি কঠিন করে তুলতে পারব। আমরা নিজেদের এবং দেশের জন্য ভালো খেলতে চাই। আমরা জানি, ভালো করতে চাওয়ার একটু চাপ আছে এবং সেটার কারণ এই টুর্নামেন্ট যেহেতু বঙ্গবন্ধুর নামে।’
গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে মাঠে দর্শকের আশা করেন স্বাগতিক কোচ, ‘আমরা গ্যালারিতে অনেক সমর্থক দেখতে চাই। বছরজুড়ে গ্যালারিতে অনেক দর্শক দেখেছি এবং তাদের সমর্থন আমাদের জন্য চমৎকার একটা বিষয়। এটা খেলোয়াড়দের সাহায্য করে।’
জয়ে চোখ রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি ও অনুশীলন করেছি, ভালো হয়েছে। আমরা জিততে চাই। যেহেতু এটা বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন, আমরা এখানে সেরাটা দিতে চাই। (যদি জিততে পারি) এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের জন্য, খেলোয়াড়দের জন্য অনেক বড় ইতিহাস হবে।’