ফের তাইজুলের আঘাত, চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শরিফুল ইসলামের বিশ্রামের সুবাদে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ফেরার ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
নিজের স্পেলের প্রথম ওভারের প্রথম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন তাইজুল। আক্রমণাত্মক হওয়ার আগেই ব্র্যান্ডন কিংকে বোল্ড করেছেন তাইজুল। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নিয়েছেন শাই হোপের উইকেট। তাঁর জোড়া আঘাতে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। তাইজুলের পর ক্যারিবীয়দের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজ।
মাত্র ১৬ রানে ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট তুলে নিয়ে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। দ্রুত উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেই প্রতিরোধ ভেঙে তাঁদের চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়েছেন নাসুম। ৩৪ ওভারে দলীয় রান ১০০ ছাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নিজের পরের স্পেলে এসে ক্যারিবীয়দের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তাইজুল।
সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসাটা অনুমিতই ছিল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সেটাই হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। মোট এক পেসার ও তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজও একাদশে এক পরিবর্তন এনেছে। আজকের ম্যাচে দলে রাখা হয়নি কাইল মায়ার্সকে। তাঁর জায়গায় স্বাগতিকদের একাদশে এসেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান কিসি কার্টি।
টানা দুই জয়ে ২-০ ব্যবধানে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরেছে বাংলাদেশ। এবার হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির হতাশা ভুলে স্বস্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে তামিম ইকবালের দল।
ওয়েস্ট উইন্ডিজকে আজ হোয়াইটওয়াশ করলে এটি হবে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে ১৫তম। আর জিততে পারলে মুখোমুখি দেখায় জয়ের সংখায় উইন্ডিজের সঙ্গে সমতা আনবে লাল-সবুজের দল।
এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে ৪৩ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ২১ বার জিতেছে উইন্ডিজ আর বাংলাদেশ জিতেছে ২০ বার। ২টি ম্যাচের ফল হয়নি। আজ বাংলাদেশ জিতলেই দুই দলের পরিসংখ্যান হবে ২১।
এ ছাড়া ম্যাচটি স্রেফ নিয়মরক্ষার। সিরিজটি আইসিসির সুপার লিগের অংশও নয়। তা ছাড়া রেটিংও বাড়বে মাত্র ১। তাই কাগজে কলমে খুব একটা গুরুত্ব নেই। তবে চলমান সফরে যেভাবে হতাশায় ডুবেছে বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে এই ম্যাচ জিতেই বাড়ি ফিরতে চাইবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা।