বিশ্বসেরা হতে চায় পাকিস্তান, পাঁচ বছরের পরিকল্পনা
১৯৯২ সালে নিজেদের ক্রিকেটের সেরা সময় পার করেছে পাকিস্তান। ইমরান খানের নেতৃত্বে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর দীর্ঘ সময় পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। জিতেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। সাফল্যের সব স্বাদ পেয়েছে দলটি।
তবে বর্তমান সময়ে খুবই ভুগছে পাকিস্তান দলটি। তা থেকে বেরিয়ে আসতে নেতৃত্বে বদল এনেছে পিসিবি। এনেছে কোচিং বিভাগেও পরিবর্তন। তাই ফের ক্রিকেটবিশ্বের সেরা হতে চায় পাকিস্তান। যার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবি জানিয়েছে, তাদের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত এই পরিকল্পনা জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা এবং পেশাদারিত্বের চারটি মূল নীতি মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘আমাদের জাতিকে অনুপ্রাণিত ও ঐক্যবদ্ধ করার পাঁচশালা পরিকল্পনা’।
এ পরিকল্পনায় পাকিস্তানের পুরুষ ও নারী জাতীয় দল এবং বয়সভিত্তিক দলগুলোর উন্নতি ও তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, প্রতি মাসেই তাদের পরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
পাঁচশালা পরিকল্পনা উন্মোচন করতে গিয়ে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালে পাঁচশালা পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এত দিন বোর্ড অব গভর্নর অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা আনন্দিত যে আমরা এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অফিশিয়াল অনুমোদন পেয়েছি। এখন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার মতো সময় এসেছে।’
ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়েই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় পিসিবি। পিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সরল, রোমাঞ্চকর ও অর্জনযোগ্য একটি পথরেখা সাজানোর, যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। লক্ষ্যটা শুধু পিসিবির কর্মচারীদের জন্যই নয়, এটি সমর্থক ও ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই করা।’
২০১৯ থেকে ২০২৩, এই পাঁচ বছরের জন্যই পরিকল্পনা সাজিয়েছে পিসিবি। যে পরিকল্পনায় আছে বিশ্বে পাকিস্তানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো, হাই পারফরম্যান্স ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করা ও নারী ক্রিকেটে জোর দেওয়া।