মুশফিক-লিটনের ফেরা নিয়ে স্বস্তিতে বাংলাদেশ কোচ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস—দুজনই ছিলেন না পারিবারিক কারণে। দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ছাড়া ভুগেছে বাংলাদেশও। তবে স্বস্তির ব্যাপার হলো—নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে দুজনই ফিরেছেন। দুই তারকা ব্যাটসম্যানের ফেরা নিয়ে স্বস্তিতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
গত সিরিজে না থাকায় দুজনই অনুশীলন নিয়ে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। সময় নিয়ে নিজেদের পরখ করে নিচ্ছেন। কোচ প্রিন্সের মতে, মুশফিক-লিটন দুজনের ফেরাটা ছিল অনেক স্বস্তিদায়ক ও বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো।
কোচের কথায়, ‘লিটন ও মুশফিকের ফেরা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ও কার্যকর তরুণ খেলোয়াড়দের সমন্বয় রয়েছে। মুশফিক ও লিটন দলে ফিরেছে। দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ও তরুণদের মধ্যে যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে আমরা কী শিখতে পারি, এ নিয়ে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। যারা সেই সিরিজে খেলেনি, ওদের সঙ্গে আমরা ভাবনা ভাগাভাগি করেছি। মুশফিক, লিটনরা এই কন্ডিশনে অভিজ্ঞ, ওরা অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলেনি। ওদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কী কী জিনিস কাজে এসেছে, আর আমরা কোথায় উন্নতি করতে পারি, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। যা আমরা নিউজিল্যান্ড সিরিজেও কাজে লাগাতে পারব।’
কোচ আরও বলেন, ‘এই দলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশ্রণ। অনেক তরুণ খেলোয়াড় দলে এসেছে। শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিং বিভাগেও আপনি এটা দেখতে পাবেন। দলে কিছু তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। ওরা তরুণ এবং বড় টুর্নামেন্ট খেলার এবং সেখানে সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। প্রতিটি বিভাগে মানসম্মত ক্রিকেটার আছে। ফাস্ট বোলিং, স্পিন বোলিং, ব্যাটিং সব বিভাগে যে মানের ক্রিকেটার আছে সেটা আমাকে রোমাঞ্চিত করছে।’
কোয়ারেন্টিন শেষে গত শুক্রবার থেকে অনুশীলনে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। অনুশীলন চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দুদলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার)। পরের চারটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। ম্যাচগুলো হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।