যে পরিকল্পনায় খেলে সাফল্য এসেছে, জানালেন সাকিব
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান সাকিব আল হাসানের। বল হাতে বড় সাফল্য না পেলেও ব্যাট হাতে চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। তাই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার ঝুলিতে নেন তিনি।
ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে সাকিব ৬৪ বলে ৭৭ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন। যাতে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার মার রয়েছে। তাঁর অসাধারণ এই ইনিংসটির ওপর ভর করে বাংলাদেশ তিন শতাধিক রান করে। যে পরিকল্পনায় খেলে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে তা জানালেন সাকিব।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম তারা রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয়। সে জন্যই আমাদের ঝুঁকি নিয়েছি। এটাই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা জানতাম ডেথ ওভারে রাবাদা তিন-চার ওভার বোলিং করবে। কারণ সে শেষ দিকে খুবই কর্যকরি বোলার।’
এই তারকা অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘আমাদের শুরুটাও ভালো হয়েছে। লিটন-তামিম ভালো করেছে। ইয়াসির ভালো ব্যাটিং করেছে। ওর সঙ্গে আমার জুটিটা ভালো ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে ভালো খেলা খুব একটা সহজ ছিল না। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছি বলেই সাফল্য এসেছে।’
ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৮ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ঐতিহাসিক এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের দল। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৯ম্যাচ খেলেও কোনো জয় পায়নি টাইগাররা। ২০তম ম্যাচে এসে অধরা সাফল্যের দেখা পেল তামিম-সাকিবরা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলীর হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে প্রোটিয়াদের ইনিংস ২৭৬ রানে গুটিয়ে যায়।
এই জয়ের সুবাদে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ১৬ ম্যাচে ১১ জয় ও ৫ হারে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। আর ১১ ম্যাচে ৩ জয়, ৬ হার ও ২টি পরিত্যক্ত ম্যাচের কারণে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।