রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ব্রাজিলের দুর্দান্ত জয়
তারকাবহুল দল। সেই সঙ্গে টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস। এতকিছু নিয়েও ম্যাচের শুরুতে সার্বিয়ান গোলরক্ষক ভি মিলিঙ্কোভিকের বাধা টপকাতে পারেনি ব্রাজিল। তুমুল আক্রমণে তাতিয়ে শেষ পর্যন্ত রিচার্লিসন পেলেন জোড়া গোলের দেখা। তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুভসূচনা করল তিতের শিষ্যরা।
কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশন শুরু করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে গোল শূন্য ব্রাজিল। ব্যবধান গড়া গোল দুটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে। এই নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচে অপরাজিত রইল ব্রাজিল।
ম্যাচটির শুরু থেকে সুযোগ করতে পারেনি ব্রাজিল। প্রথমার্ধে দাঁতে দাঁত চেপে শুরুর দিকে লড়াই করেছে সার্বিয়া। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই ফাউলের শিকার হন নেইমার। তাতে হলুদ কার্ড দেখেন সার্বিয়ার পাভলোভিক। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় ব্রাজিল। কিন্তু সার্বিয়ান গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলের দেখা মেলেনি।
৩০ মিনিটের মাথায় আরেক দফায় রক্ষা পায় সার্বিয়া। পরের মিনিটেই ডান দিক থেকে নেইমারের নেওয়া শট লাফিয়ে পড়ে ঠেকান সার্বিয়ান গোলরক্ষক ভি মিলিঙ্কোভিক।
৩৫তম মিনিটে রাফিনিয়ার শট আরেক দফায় থামান সার্বিয়ান গোলরক্ষক। বিরতির আগে ৪১তম মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠেও ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেননি তিনি। তাঁর নেওয়া শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায় বাইরে।
একের পর এক আক্রমণে সার্বিয়াকে কোণঠাসা করে তোলে ব্রাজিল। কিন্তু ভিনিসিউস-নেইমারদের আক্রমণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সার্বিয়ার রক্ষণভাগ। ফলে গোলহীন থেকেই বিরতিতে যায় তিতের দল।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৪ মিনিটে উল্লেখযোগ্য সুযোগ পান নেইমার। কিন্তু বল ঠিকানায় পাঠাতে পারেননি। ৬০তম মিনিটে সান্দ্রোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। গোলের জন্য মুখিয়ে থাকা ব্রাজিলের অপেক্ষা শেষ হয় ৬২তম মিনিটে।
প্রতিপক্ষের ডি বক্সে নেইমারের দেওয়া পাস পান ভিনিসিউস জুনিয়র। বাঁ দিক থেকে কোনাকুনি শট নেন ভিনি। সার্বিয়ান গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে ফিরতি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রিচার্লিসন।
৭৩তম মিনিটে আবাও রিচার্লিসনের চমক। এবারও প্রেক্ষাপটে ভিনি। বাঁ দিক থেকে তিনি বল পাঠান প্রতিপক্ষের ডি বক্সে। সেখান থেকে দুর্দান্ত বাইসেকেল কিকে স্কোরলাইন ২-০ করেন রিচার্লিসন। এই ব্যবধান ধরে রেখেই শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
পুরো ম্যাচে ৫৯ভাগ সময় বল দখলে রেখে সার্বিয়ান শিবিরে ২২বার আক্রমণ করে ব্রাজিল। যার ৮টি ছিল অনটার্গেট শট। বিপরীতে ৫ বার আক্রমণ করা সার্বিয়া একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হলো নেইমারদের। এই গ্রুপে ব্রাজিলের পাশাপাশি জয় পেয়েছে সুইজারল্যান্ড। দুই দলেরই সমান ৩ পয়েন্ট। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে টেবিলের এক নম্বরে আছে ব্রাজিল।