শেষের নাটকীয়তা নিয়ে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। ওই ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ওভারের পঞ্চম বলে নো বল ও বাউন্ডারি দিয়ে ভীতি ছড়িয়ে দেন কাটার-মাস্টার। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি। বাঁহাতি পেসারই শেষ পর্যন্ত দলকে সাফল্য এনে দেন। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও জানালেন, মুস্তাফিজের ওপর বিশ্বাস ছিল তাঁর।
শেষ ওভারের প্রথম বলে তিন রান দেন মুস্তাফিজ। পরের তিন বলে দেন কেবল ৪ রান। শেষ দুই বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রানের। ঠিক এই সময়ই নো বল দিয়ে বসেন মুস্তাফিজ। ওই বলটি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের পাশ দিয়ে হয়ে যায় বাউন্ডারি।
তাতে আশা জেগে ওঠে নিউজিল্যান্ডের। কারণ নিউজিল্যান্ড দুই বলে ৮ রান নিলেই তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ওই মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখেছেন মুস্তাফিজ। পরের দুই বলে কোনো ভুল করেননি। পঞ্চম বলে মুস্তাফিজ দেন ২ রান, শেষ বলে দেন ১। তাতেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে মুস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসান মাহমুদউল্লাহ, ‘মুস্তাফিজ স্নায়ুচাপ ভালোভাবে ধরে রেখেছিল। আমরা সত্যিই জয়ের কাছাকাছি ছিলাম। ব্যতিক্রম হওয়াটা অস্বাভাবিক ছিল। তবে মুস্তাফিজের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল।’
মেহেদীও বল হাতে দারুণ ছিলেন। ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। তরুণ পেসার সম্পর্কে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘মেহেদী নতুন বলে ভালো বল করছে। আগের থেকে উইকেট আরও ভালো হয়েছে। এই ধারা (জয়ের ধারা) অব্যাহত রাখতে পেরে আমরা খুশি।’
ম্যাচটিতে জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আর এক ম্যাচ জিতলেই নিউইজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। সিরিজের পরের ম্যাচ আগামী রোববার।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার নাঈম শেখ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ সাত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান এটি। তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৩৭ রানে থামে নিউজিল্যান্ড।