রিয়ালকে চাপে রাখল বার্সা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/03/photo-1491194112.jpg)
বার্সার জয় নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। তবে দেখার বিষয় ছিল, মেসিবিহীন ম্যাচে কেমন খেলেন সুয়ারেজ-নেইমাররা। সেই পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেলেন এমএসএন ত্রয়ীর ‘এসএন’ জুটি। সুয়ারেজ ও নেইমারের জ্বলে ওঠা ম্যাচে অবনবম অঞ্চলে থাকা গ্রানাডাকে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা। সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কাতালানদের জয়টা ৪-১ গোলের। বার্সার হয়ে গোল করেছেন সুয়ারেজ, আলকেসার, রেকিটিচ ও নেইমার।
গ্রানাডার এস্তাদিও নুয়েভো লস কারমেনেসে মেসি না থাকলেও নেইমার-সুয়ারেজরা দারুণ সব আক্রমণ করতে থাকেন। সাত মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় বার্সা। তবে নেইমার ও সুয়ারেজের জোড়া আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন গ্রানাডার ম্যাক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়া। সুয়ারেজের শট ক্রসবারে লাগে আর ফিরতি বল নেইমার জালে পাঠালেও অফসাইডে ফাঁড়ায় পড়ে গোল বাতিল হয়। ১৭ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে রাফিনহা মাঠের বাইরে চলে গেলে লুইস এনরিকের কপালে বেশ বড় একটা ভাঁজ পড়ে। বারবার আক্রমণ করে গ্রানাডার রক্ষণভাগ কাঁপালেও গোল পাচ্ছিল না বার্সেলোনা।
৩৩তম মিনিটে সুয়ারেজের দারুণ শট ঠেকিয়ে দেন ওচোয়া। প্রথমার্ধটা যখন গোলশূন্য ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ। জর্দি আলবার বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ওচোয়ার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
বিরতি থেকে ফিরেই বার্সাকে অবাক করে দিয়ে গোল করে গ্রানাডা। ৫০তম মিনিটে জেরেমি বোগা দলকে সমতায় ফেরান। এরপর আবার গোলে জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন নেইমাররা। ৬৪তম মিনিটে আলকেসার এগিয়ে দেন কাতালান ক্লাবটিকে। সুয়ারেজের উঁচু করে বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোল করেন আলকাসের। ৮২ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় গ্রানাডা। আর এরই সুযোগে ৮৩ মিনিটে গোল করে বসেন বার্সার মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। গোলের সেঞ্চুরি অপেক্ষায় থাকা নেইমার দারুণ খেললেও গোল পাচ্ছিলেন না। অবশেষে অতিরিক্ত সময়ে গোলের দেখা পান ব্রাজিল সুপারস্টার। বার্সার হয়ে ১৭৭তম ম্যাচে একশ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই তারকা।
এ জয়ে ২৯ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রইল বার্সেলোনা। আর ২৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে জায়গাটি এখনো রিয়াল মাদ্রিদের দখলে।