বাবাকে হারালেন ম্যারাডোনা
বছর চারেক আগে মাকে হারিয়েছিলেন। এবার বাবাকেও হারালেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন ফুটবল-কিংবদন্তির বাবা ডন ডিয়েগো বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। ৮৭ বছর বয়সী ডিয়েগো দীর্ঘদিন হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।
আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা করতেন না ডিয়েগো। ম্যারাডোনাও ভীষণ বাবাভক্ত ছিলেন। প্রিয় মানুষটির স্বাস্থ্যের অবনতির দুঃসংবাদ পেয়ে তাই একটুও দেরি করেননি, দুবাই থেকে উড়ে গেছেন আর্জেন্টিনায়। গত ২ জুন থেকে বুয়েনস এইরেসের একটি হাসপাতালে বাবার পাশেই ছিলেন ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনার বাবা ছিলেন একজন কারখানা শ্রমিক। ১৯৫০-এর দশকে আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ করিয়েন্তেস থেকে তিনি চলে আসেন রাজধানী বুয়েনস এইরেসে। বড় ছেলে ম্যারাডোনা নয় বছর বয়সে প্রথম বিভাগের দল আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে ট্রায়াল দেওয়ার অনুমতি চাইলেও ডিয়েগো তাতে রাজি হননি। তার একটাই কারণ, ফুটবল থেকে তখন তেমন অর্থপ্রাপ্তি হতো না।
তবে ম্যারাডোনার ‘আবিষ্কারক’ ফ্রান্সিস করনেহোর অনেক অনুরোধ-উপরোধে ছেলেকে ফুটবল মাঠে যাওয়ার অনুমতি দেন ডিয়েগো। বাকিটা ইতিহাস। ম্যারাডোনা তো বটেই, তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থদেরও প্রায়ই রান্না করে খাওয়াতেন তিনি। আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর মেক্সিকোতে ডিয়েগো একটা বারবিকিউ পার্টিরও আয়োজন করেছিলেন।