জরিমানার সঙ্গে পাকিস্তান ছাড়তে হচ্ছে শেহজাদকে
বোর্ডের অনুমতি ব্যতীত পাকিস্তানের এক ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ শেহজাদ গত মাসেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়। মাস না গড়াতেই সেই শেহজাদকেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা! সাথে পাকিস্তানের বসতি ছেড়ে নিজদেশ আফগানিস্তানে ফিরে আসারও আদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
শহর পেশোয়ারের এক শরণার্থী শিবিরে বড়ে ওঠা শেহজাদ বর্তমানে বসবাস করছেন সেখানেই। আর সেখানকার স্থানীয় এক ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেটা দোষের কিছু নয়, তবে বোর্ডের অনাপত্তিপত্র না নিয়েই মাঠে নামায় প্রায় চার হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। শুধু জরিমানাই নয় বোর্ড শেহজাদকে আদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের পাট চুকিয়ে নিজ দেশে ফিরে আসতে।
পাকিস্তানের উত্তরের শহর পেশোয়ার অবস্থিত একদম আফগানিস্তান সীমান্তের সাথেই। তাই যুদ্ধাহত দেশটির বিপুল জনগণ বসবাস করছেন পেশোয়ারে। এ রকম অবস্থায় গত সপ্তাহেই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) শক্ত নিয়ম করেছে যেসব ক্রিকেটারকে ফিরে আসতে হবে দেশে। অন্যথায় তাঁরা থাকবে না বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। পেশোয়ারে বেড়ে উঠলেও শেহজাদের জন্মস্থান আফগানিস্তানের নাঙ্গরাহারে হওয়ায় তাঁকেও ফিরতে হচ্ছে দেশে।
এসিবি সভাপতি আতিফ মাশাল জানিয়েছেন শেহজাদ বোর্ডের নীতিমালা ভাঙ্গার দায়ে পেয়েছেন জরিমানার শাস্তি। তাঁর ভাষ্যে, ‘এসিবির অনুমতি ছাড়া কোনো আফগান খেলোয়াড় কিংবা কর্মকর্তা অংশ নিতে পারবেনা ভিনদেশি টুর্নামেন্টে। অথচ সে পাকিস্তানে ক্লাব পর্যায়ের টুর্নামেন্ট খেলেছে কিন্তু বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নেয়নি। এ কারণেই তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।’
নিষিদ্ধ হওয়া বা জরিমানা অবশ্য শেহজাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০১৭ সালের প্রায় পুরোটা সময়ই মারকুটে এই ব্যাটসম্যান মাঠে থাকতে পারেননি ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জিম্বাবুয়েতে আয়োজিত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লড়াইয়ে মাঠে ফেরেন তিনি।