রিয়ালের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত কারা?

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ এখন তৃতীয় স্থানে আছে। লিগে নিজেদের বর্তমান নিয়ে যে তেমন একটা ভাবছে না তারা, এর প্রমাণ দেখা গেছে গতকাল রোববার রাতের ম্যাচে। দুর্বল মালাগার বিপক্ষে দেশের বেশ কয়েকজন তারকাকে বিশ্রামে রেখেছে তারা । লা লিগায় শিরোপার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়ায় জিনেদিন জিদানের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এখানে শিরোপা জয়ের অন্যতম ফেভারিট যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলটিই। সব বাধা পেরিয়ে টানা আটবার সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে দলটি। শুধু কোচই নয়, দলের খেলোয়াড়রাও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন চ্যাম্পিয়নস লিগকে।
রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম খেলোয়াড় লুকাস ভাসকেস মনে করেন, টানা আটবার সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়ায় রিয়ালকে নিয়ে ‘ঈর্ষায়’ ভুগছেন অনেকেই। জুভেন্টাসের বিপক্ষে শেষ আটের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে রিয়ালভক্তদের মনে শঙ্কা জেগেছিল রিয়ালের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত জুভেন্টাসকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে দলটি।
গতকাল মালাগার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ভাসকেস বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ পরপর আটবার সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে, যেটা অনেকের কাছেই কষ্টের কারণ। এটা অনেককেই ঈর্ষাকাতর করে তুলেছে। কেউ কেউ আমাদের দুর্ভাগ্যতে বরং খুশিই হয়।’
ভাসকেস জুভেন্টাসের বিপক্ষে বিতর্কিত পেনাল্টি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ওটা পরিষ্কারভাবেই পেনাল্টি ছিল। যা ঘটে যায়, মানুষ তাতে এত গুরুত্ব কেন দেয়, বুঝি না। ইতালির চেয়ে এই পেনাল্টি নিয়ে স্পেনেই বেশি কথা রটে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচ নিয়েও বেশ রোমাঞ্চিত রিয়াল মিডফিল্ডার ভাসকেস। তিনি বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, বায়ার্ন বর্তমানে ইউরোপের অন্যতম সেরা দল। সেমিফাইনালের ম্যাচটা চমৎকার হবে। বায়ার্নে বন্ধু জেমস (হামেস রদ্রিগেজ) আছে। কিন্তু আশা করছি সে ফাইনালে পৌঁছাতে পারবে না।’