মাশরাফিরা থাকছেন সৌম্য-সাব্বিরদের পাশেই
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এসেছে বড় রদবদল। এক ধাক্কায় ছয়জন ক্রিকেটারকে ছেঁটে ফেলে চুক্তিতে থাকা ১৬ সদস্য কমিয়ে বিসিবি নিয়ে এসেছে ১০ জনে। বোর্ড চুক্তি থেকে সরিয়ে দিলেও বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করছেন, চুক্তির বাইরে যাওয়া ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানো উচিত চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের।
চুক্তি থেকে বাদ পড়া ছয় ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। ইমরুল বাদে অধিকাংশ ক্রিকেটার এখনো তরুণ। তাই দলপতির আশ্বাস, ভালো পারফর্ম করে আবার যেন চুক্তিতে ফিরে আসতে পারেন তাঁরা, সে জন্য যেকোনো ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে মাশরাফি গিয়েছিলেন তাঁর প্রতিষ্ঠান নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কাজে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘যারা বাদ পড়ে গেছে চুক্তি থেকে, তারাও কিন্তু দলের জন্য অবদান রেখেছে। আমরা যাঁরা সিনিয়র আছি, সবাই মিলে তাঁদের আবারও চুক্তিতে ফিরতে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা অবশ্যই চুপ করে বসে থাকবে না, ফিরে আসার চেষ্টা করবে। আমি বিশ্বাস করি তারা সেটা পারবে।’
চুক্তি থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় এই ছয় ক্রিকেটার আবারও ফিরে না আসা পর্যন্ত পাবেন না বোর্ড থেকে কোনো বেতন। সে প্রসঙ্গেও কথা বলছেন মাশরাফি। বেতনের সঙ্গে অবশ্য মাশরাফি প্রাধান্য দিচ্ছেন পেশাদারিত্বকেও।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলনায়ক বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের জন্য বেতন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই আমাদের অধিকাংশ ক্রিকেটাররা আসে। ফলে পরিবারও অনেকটা নির্ভরশীল থাকে তাঁদের বেতনের ওপর। অবশ্য সিদ্ধান্তটা পুরোপুরিই বোর্ডের ওপর। কয়জনকে বেতন দেবে না, সেটা তারাই নির্ধারণ করবে। বেতনটা যেমন একজন খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তাকে ততটুকু আবেগ দিয়ে খেলতেও হবে। আমার বিশ্বাস তারা সেটা করে। পারফরম্যান্স তো ওঠানামা করেই। তবে সেই গ্রাফের ওপর নির্ভর করে বেতন, সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই।’