রাশিয়ার স্বপ্ন ভেঙে শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/07/08/photo-1530997772.jpg)
রাশিয়া সর্বশেষ সেমিফাইনালে খেলেছিল ১৯৬৬ সালে, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। সেবার তাদের চতুর্থ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ, তাই যেন আসরের শুরু থেকেই বেশ উজ্জীবিত ছিল তারা। ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্মও করে তারা, কিন্তু দীর্ঘ ৫২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেও সেমিতে খেলা হলো না তাদের। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-৩ গোলে হেরে ভেঙে যায় তাদের সব আশা, সব স্বপ্ন।
সোচিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রতিটি পরতে পরতে ছিল নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত তাতে জয়ী হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। হেরে হতাশ হতে হয় রাশিয়াকে। নিজেদের মাটিতে সেমিতে খেলার স্বপ্ন ভেঙে যায় তাদের।
অবশ্য রাশিয়া শুরু থেকেই বেশ সতর্ক ছিল। শুধু নিজেদের রক্ষণভাগকেই আগলে রেখে, প্রতিপক্ষের সীমানায় ঝাপিয়ে পড়ছে তারা। তাই প্রথমে সাফল্যও পায় তারা, ৩১ মিনিটে ডেনিস চেরিশেভের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় তারা (১-০)। বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তাঁর শট ক্রোয়েট গোলরক্ষক কিছু বোঝার আগেই বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে। এটিকে আসরের অন্যতম সেরা গোল বললেও ভুল বলা হবে না।
তবে এই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রাশিয়া। আট মিনিটের ব্যবধানে একটি পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে খেলার সমতায় ফিরে ক্রোয়েশিয়া (১-১)।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মারিও মান্দজুকিচের চমৎকার ক্রসে আন্দ্রেই ক্রামারিচ হেডে বল জালে জড়াতে মোটেও ভুল করেননি। তাঁর এই গোলে হাফ ছেড়ে বাঁচে ক্রোয়েশিয়া।
অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার দুর্ভাগ্য ৬০ মিনিটে গোল না পাওয়া। রাশিয়ার গোলরক্ষক পরাস্ত, পরাস্ত তিন ডিফেন্ডারও কিন্তু ইভান পেরিসিচ বল জালে জড়াতে পারেননি। তাঁর শট সাইডবারের ভেতরে লেগে ফিরে আসে। যাতে গোল না হওয়াটা অবাক করারই মতো।
দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। সে ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু রাশিয়ার দুর্বার রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাগতিকদের সীমনায় গিয়ে থেমে গেছে তাদের আক্রমণ।
নির্ধারিত সময়ে খেলা অমীমাংসিত থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে প্রথমে সাফল্য পায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ১০০তম মিনিটে ডোমাগো ভিদার গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ক্রোয়েটরা (২-১)।
এই ব্যবধানে যখন খেলা শেষ হতে চলছিল, তখনই নাটকীয়ভাবে গোল করে খেলার সমতায় ফিরে রাশিয়া। ১১৫ মিনিটে মারিও ফার্নান্দেস গোল করে দলকে খেলায় ফেরান (২-২)। তাই খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
কিন্তু টাইব্রেকারে রাশিয়ার স্বপ্ন-পূরণ হয়নি। নিজেদের মাটিতে সেমিফাইনালের আগেই অতিথি হয়ে যায় তারা।
শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হবে ফেভারিট ইংল্যান্ডের। এদিন ইংলিশরা ২-০ গোলে সুইডেনকে হারিয়ে সেমিতে ওঠে। সেমির অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই হট ফেভারিট বেলজিয়াম ও ফ্রান্স।