যে কারণে সাফে নেই আফগানিস্তান
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান রানার্সআপ আফগানিস্তান। টানা গত তিন আসরের ফাইনালে খেলা আফগানিস্তান এবারের আসরে নেই। তাই সাতটি দল নিয়ে বসছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল আসরটি।
গত তিন আসরের ফাইনাল যেন নিজেদের নামেই করে ফেলে ভারত ও আফগানিস্তান। ২০১১ সালে দিল্লি সাফের ফাইনাল খেলে ভারত ও আফগানিস্তান। সেবার আফগানিস্তানকে ৪-০ গোলে হরিয়ে শিরোপা জিতে নেয় স্বাগতিকরা। পরের আসরে ২০১৩ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফেও ফাইনাল খেলে দুই দল। এবার ভারতকে ২-০ গোলে পরাজিত করে প্রথবার সাফের শিরোপা জিতে নেয় আফগানিস্তান।
ঠিক পরের আসরে ২০১৫ সালেও ফাইনালে লড়াই করে ভারত ও আফগানিস্তান। সেবার অবশ্য শেষ হাসি হাসে ভারত। আফগানিস্তানকে ২-১ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জেতে নেয় তারা।
এই দ্বৈরথ এবার আর চোখে পড়বে না। কারণ আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরে নেই আফগানিস্তান। কেননা ২০১৫ সালেই সাফ ত্যাগ করেছে দেশটি। আফগানিস্তান যোগ দিয়েছে মধ্য এশিয়ার ফুটবল সংস্থা ‘সেন্ট্রাল এশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে’। ওই বছরই মধ্য এশিয়ার ছয়টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় ওই সংস্থা।
ওই সংস্থায় আছে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা ইরান। আফগানিস্তান ছাড়া অন্য দেশগুলো হলো, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান, তুর্কমিনিস্তান, উজবেকিস্তান। আফগানিস্তানের নতুন সঙ্গী ওই পাঁচটি দেশই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বেশ ভালো অবস্থানে। বর্তমানে ইরান আছে র্যাঙ্কিংয়ে ৩২ নম্বরে। এর পরই আছে কিরঘিজস্তান, ৯২তম। আফগানিস্তানের অবস্থান ১৪৫।
এদিকে সাফে শীর্ষে থাকা ভারতের অবস্থান ৯৬। এর পরই আছে মালদ্বীপ, যার অবস্থান ১৫০।
সাফ ছাড়লেও আফগানিস্তানের ফুটবল ইতিহাস সাফ ছাড়া লেখা যাবে না। ২০১৩ সালে জয় করা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিটি এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের সেরা অর্জন। এই সাফ দিয়েই নিজেদের আন্তর্জাতিক শক্তিমত্তার জানান দেয় আফগানিস্তান। ২০০৩ সালে ঢাকা সাফে প্রথমবার অংশ নিয়েছিল দেশটি। সেবার একটি ম্যাচও জেতে পারেনি তারা। তবে শেষ তিন আসরে আফগানিস্তান নিজেদের আলাদা করে চেনায়। ভারত ছাড়া অন্য কোনো দলই তেমন লড়াই করতে পারেনি আফগানিস্তানের সঙ্গে।
আফগানিস্তান চলে যাওয়ায় সে দ্বৈরথটাই শেষ হয়ে গেল।