তপুর গুলি কাদের জন্য?

তপু বর্মণের হেডে গোল। জার্সি খুলে দৌড়ে গ্যালারির কাছে চলে গেলেন তিনি। সঙ্গে পুরো বাংলাদেশ দল। এতেই উদযাপন শেষ হয়নি কিন্তু!
মাঠে ফেরার পর ওয়ালি ফয়সালসহ তিন-চারজন তপুর সামনে দাঁড়ালেন। উদাম গায়ের তপু হাঁটু গেড়ে গুলি করার ভান করলেন। গুলি খেয়ে মরে যাওয়ার ভান করলেন ফয়সালরা।
ঠিক ৮৫ মিনিটে পাকিস্তানের জালে বল ফেলে এমন উদযাপন। জয় নিশ্চিত করা ওই গোলের পর এমন উদযাপন বেশ নজর কাড়ে দর্শকদের।
বিশেষ করে উদাম গায়ের তপু যেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা। বীরদর্পে যেন গুলি করে জয় ছিনিয়ে আনছেন বর্বরতায় মেতে ওঠা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে! এমন উদযাপনের সময় ফয়সালদের অভিনয়ও ছিল অসাধারণ। গুলি খাওয়ার পর মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার অভিনয় করেন তাঁরা।
ম্যাচের তখন ৮৪ মিনিট। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো গিয়ে পড়ে পাকিস্তানের জালের মুখে। একটি হেড হওয়ার পর বলটি বাতাসে ভাসছিল। দ্রুত এসে হেডটি দেন তপু বর্মণ। ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিট।
সাফ ফুটবলে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের প্রথম গোলটিও করেন তপু বর্মণ।