কোচ দাঁড়িয়ে স্যালুট দিলেন মেয়েদের
কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটনের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকরা। মেয়েদের অর্জন নিয়ে বলতে হবে তাঁকে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা মৌসুমি-মারিয়ারা পেছনের সোফায় বসা। কোচ ছোটন দাঁড়ালেন। পেছন ফিরে মেয়েদের একটা স্যালুট দিলেন।
ছোটন বলেন, ‘যারা আসলে এর কারিগর তাদের আমি স্যালুট জানাব। তারা এটার দাবিদার।’
আজ সোমবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল দেশে ফিরেছে। গতকাল রোববার ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ১-০ গোলে পরাজিত করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
অদম্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি এই মেয়েরা। অর্জনের পর অর্জন দিয়ে যারা দেশের ফুটবলকে উঁচুতে নিচ্ছে দিনের পর দিন। এক আসর থেকে অন্য আসর খেলে দেশে ফিরছে সাফল্যের স্মারক সাথে নিয়ে। ভুটান থেকে যেমন দলটি ফিরেছে চ্যাম্পিয়নসহ মোট তিনটি ট্রফি হাতে।
চার ম্যাচে ২৪ গোল দেওয়া দলের ফুটবলারদের মাঝে আছেন স্বপ্নার মতো সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। সঙ্গে পুরো দলে প্রাপ্য ফেয়ার প্লের ট্রফি।
কোচ গোলাম রাব্বানি বলেন, ‘প্রতিকূলতা, ঠাণ্ডা, ক্রাউড সবকিছু মানিয়ে নিয়েই তারা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে, সামনেও এগিয়ে যাবে।’
কোচের বাড়তি সম্মান কেনই বা পাবে না মেয়েরা? প্রতি ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন সব গেম প্ল্যান ভিন্ন সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সামর্থ্য থাকায় মনিকা-আঁখি-মারিয়াদের ভালো করার জেদ যেন আরো চেপে বসেছে।
দলের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমি বলেন, ‘দিন যাচ্ছে আমরা আমাদের জায়গাগুলোকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করছি। বিশ্বের সেরা টিমগুলো আছে যেমন জাপান, কোরিয়া এদের সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
ফাইনালে যার গোলে এমন উল্লাস নিয়ে দেশে ফেরা দলটির তার কাছে সবকিছু এখনো যেন স্বপ্নের মতো লাগছে। একমাত্র গোলটি করেন ডিফেন্ডার মাশুরা পারভিন।
মাশুরা পারভিন বলেন, ‘মাশুরা পারভিন এটা আমার স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমার কোনো গোল ছিল না। আমার গোলে আমার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’
মেয়েদের দু-একদিনের বিশ্রাম মিলবে। তাজিকিস্তান সফরের পরিকল্পনা শুরু হবে তারপর।