‘এ’ দলের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
ভারত সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সময়টা একদমই ভালো কাটছে না। নাসির হোসেনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় এনে দিলেও ওয়ানডে সিরিজে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে হার মানতে হয়েছে। কর্ণাটকের বিপক্ষে প্রথম তিন দিনের ম্যাচের শুরুতেও ব্যাট হাতে বিপর্যস্ত ‘এ’ দল। মহীশূরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৮ রানে গুটিয়ে গেছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি। তবে দুই স্পিনার শুভাগত হোম ও সাকলাইন সজীবের ঘূর্ণিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অতিথিরা। প্রথম দিন শেষে ভারতের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটকের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬৩ রান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করার পর বল হাতেও জ্বলে উঠেছেন শুভাগত। অফব্রেক বোলিংয়ে ২৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪৮ রানের বিনিময়ে বাঁ-হাতি স্পিনার সজীবেরও ‘শিকার’ তিন উইকেট।
৭৫ রানে কর্নাটকের পাঁচ উইকেট ফেলে দিয়ে লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ‘এ’ দল। কিন্তু শিশির বাভানের দৃঢ়তায় তা হতে পারেনি। দিনশেষে ৫৫ রানে অপরাজিত বাভানে।
এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন প্রসিধ কৃষ্ণ। ১৯ বছর বয়সী এই পেসার একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। দুটি উইকেট পেয়েছেন অফস্পিনার উদিত প্যাটেল।
ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে ১৩, ০ ও ৯ রান করেছিলেন। সীমিত ওভারের পর বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও রনি তালুকদার ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ। এবার মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই তিনি আউট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রনিকে ফিরিয়েই ‘ধ্বংসযজ্ঞে’র সূচনা করেন কৃষ্ণ।
অন্য ওপেনার এনামুল হকও (৫) কৃষ্ণর বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন। সৌম্য সরকার (০), দারুণ ছন্দে থাকা নাসির হোসেন (৮) ও কামরুল ইসলামও (৮) এই পেসারের ‘শিকার’। অধিনায়ক মুমিনুল হককে (১) ফিরিয়েছেন আরেক পেসার এইচ এস শরৎ।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিলে ব্যতিক্রম লিটন দাস ও শুভাগত। ওয়ানডে সিরিজে ৭৫ ও ৪৫ রানের দুটো ভালো ইনিংস খেলা লিটন এবার করেছেন ৫০ রান। শুভাগতর অবদান ৫৫ রান। দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পেরেছেন আর মাত্র একজন—দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাকলাইন সজীব (১৫*)।