ইমরুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
দলীয় ১৭ রানে দুই উইকেট নেই বাংলাদেশের। কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়ে দ্রুতই সাজঘরে ফিরেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও। শুরুতে চিত্রটা যখন এমন, অনেকেই ভেবে বসেছিলেন খুব বেশিদূর যেতে পারবে না বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, শতরান পেরোতে না পেরোতেই দলের ছয় নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে। অন্যরা যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত, একপাশ আগলে রাখেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ একটি সেঞ্চুরিতে লাল-সবুজের দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথ দেখান তিনি। তাই স্বাগতিকরা গড়েছে ২৭১ রান।
আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইমরুলের ক্যারিয়ার সেরা সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শুরুটা সতর্কভাবে হলেও ওপেনার লিটস দাস (৪) দ্রুত আউট হয়ে গেলে বড় ধাক্কা লাগে দলের ইনিংসে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন তিনি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আউট হয়ে যান অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ফজলে রাব্বিও। তিনি ঝুলিতে কোনো রান নিতে পারেননি। এরপর আশা জাগিয়েও দ্রুত ফিরেন মুশফিকুর রহিম (১৫)।
অবশ্য চতুর্থ উইকেটে ইমরুল ও মিঠুন দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন। দুজনে মিলে করেন ৭১ রান। মিঠুন ৪০ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এরপর দ্রুত ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (০) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১)।
সপ্তম উইকেট জুটিতে সাইফুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ইমরুল আবার রুখে দাঁড়ান। সফলও হন। গড়েন একটি রেকর্ড পার্টনারশিপ, ১২৭ রান। আর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ইমরুল দলকেও গড়ে দেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
ইমরুল ১৪০ বলে ১৪৪ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে ১৩ চার ও ছয়টি ছক্কার মার রয়েছে। তরুণ সাইফুদ্দিনও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন। ৬৯ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
অবশ্য দেশের মাটিতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত আটটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে দুই দল। এর মধ্যে একটি বাদে সবকটিতেই জিতেছে টাইগাররা।
নিজেদের মাটিতে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। তবে এরপর আর কোনো ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ।