অসাধ্য সাধন করতে পারবে কি বাংলাদেশ?
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী টেস্টে ৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৫ রান, হাতে আছে ১০ উইকেট। প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে, তখন অনেক কিছুই সম্ভব। তবে যখন রান তাড়া করে জেতার প্রশ্ন, তখন হয়তো রেকর্ডের বিষয়ে একটু মাথা ঘামাতে হতে পারে ভক্তদের। কারণ অতীত থেকে ভবিষ্যৎকে দেখা যায়। অবশ্য এখন ক্রিকেটারদের পেছনে ফিরে দেখার কোনো অবকাশ নেই।
সময়ের হিসাবে আরো দুইদিন বাকি। সময় আছে অনেক। তবে ততক্ষণ জিম্বাবুয়ের চাতারা –জারভিসদের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা টিকে থাকতে পারবেন কি না, সেটিই বড় বিষয়। এর আগে টেস্টে এত রান তাড়া করে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩০০ রান কিংবা তারচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র ৩০টি। উপমহাদেশে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচবার ৩০০ বেশি রান তারার রেকর্ড আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২১৬ রানের লক্ষ্য সেবার চার উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ রান তাড়া করে জিতেছে মাত্র তিনবার। গত বছর নিজেদের শততম টেস্টে ১৯১ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার উইকেটে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের আরেকটি জয় এসেছিল মাত্র ১০১ রান তারা করে, এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। তবে বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসেও ৩০০ রান করার রেকর্ড আছে। জয় আসেনি কোনোবারই। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৪১৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেও ১০৭ রানে হেরেছিল সাকিব আল হাসানরা।
হয়তো রেকর্ড নিয়ে তেমন একতা মাথা ঘামাবে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে এই পিচে জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দৈন্যতা যতটা প্রকটভাবে ধরা পড়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে এই রান তাড়া করা সম্ভব বলেই মনে করেন ক্রীড়াভক্তরা। তাই এই রান তাড়া করে জিততে পারলে সিলেটের উদ্বোধনী টেস্টে জয়ের রেকর্ডের পাশাপাশি এই স্টেডিয়ামে জয়ের রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে অতীতের স্মৃতির পাতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে রেকর্ড বই ওলট-পালট করতে হবে বাংলাদেশ দলকে।