ঘরের মাঠে প্রথম শতক মাহমুদউল্লাহর
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনেও চালকের আসনে আছে বাংলাদেশ। দলের হাল ধরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এমনকি ঘরের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট শতকের দেখা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
মাহমুদউল্লাহ প্রথম টেস্ট শতক পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে, ২০১০ সালে। সেই ম্যাচে দলের দুর্দিনে ১৭৭ বল খেলে ১১৫ রান করেছিলেন তিনি। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির বলে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ার আগে ১৯০ মিনিটের সেই ইনিংসে ১৭টি চারের সঙ্গে ছিল দুটি ছয়ের মার। এই মাহমুদউল্লাহ নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক এবং ঘরের মাঠে প্রথম শতক পেলেন আজ মিরপুরে, দীর্ঘ আট বছর পর!
দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না চাপিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রথম চার উইকেট মাত্র ২৫ রানে হারিয়ে বিপদেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত ৬৭ রানে মিঠুন আউট হয়ে গেলে ১১৮ রানের জুটি ভাঙে। তবে গত ইনিংসে অর্ধশতক পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১২২ বল খেলে শতক পেয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন চারটি চার ও দুটি ছক্কার মারে। শেষ পর্যন্ত ৪৪২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
দীর্ঘ আট বছর পর নিজের দ্বিতীয় শতক তো বটেই, টেস্টে দেশের মাটিতে প্রথম শতকটিও পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে ঘরের মাঠে মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৯৬ রান, ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। শুধু একজন সঙ্গীর অভাবেই শতক পূর্ণ হয়নি তাঁর। এবার সেই আক্ষেপও ঘুচল এই অলরাউন্ডারের। অবশ্য ঘরের মাঠে মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান পেয়েছিলেন এই বছরেই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সেবারেও উপযুক্ত সঙ্গীর অভাবে শতক পাননি তিনি।
সিরিজের প্রথম টেস্টে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তাই সিরিজ ড্র করতে হলে এই টেস্টে জিততেই হবে টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে মুশফিকের দ্বিশতকের পর মাহমুদউল্লাহর শতক রানের দিক থেকে নিরাপদ রেখেছে বাংলাদেশকে। এখন বোলাররা তাঁদের কাজ যথাযথভাবে করতে পারেন কি না, সেটিই দেখার বিষয়।