বোলারদের নৈপুণ্যে সিরিজ জিতে উচ্ছ্বসিত আফ্রিদি
প্রথম ম্যাচে ১৩৬ রান করে ১৩ রানের জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি পাকিস্তান, থামতে হয়েছে সেই ১৩৬ রানেই। তবে আবার জয় পেয়েছে শহীদ আফ্রিদির দল। এবার জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ রানে। টানা দুই ম্যাচ ‘অল্প’ রান করেও বোলারদের কৃতিত্বে সাফল্য পেয়ে দারুণ খুশি পাকিস্তানের অধিনায়ক আফ্রিদি।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে অতিথিদের টানা দ্বিতীয় জয়ে উমর আকমলের অবদানও কম নয় অবশ্য। শুরু থেকে রানের জন্য লড়াই করে চলা দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেওয়ার কৃতিত্ব তাঁরই। ২৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকা উমল ছাড়া বলার মতো রান শোয়েব মাকসুদের (২৬)।
জবাব দিতে নেমে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শন উইলিয়ামস (অপরাজিত ৪০) ও সিকান্দার রাজা (৩৬)। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে সিকান্দারের বিদায়ের পর উইলিয়ামস স্বাগতিকদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি। দুই বাঁহাতি পেসার ইরফান খান ও ইমরান খানের দারুণ বোলিং জয় এনে দিয়েছে পাকিস্তানকে। দুজনেরই শিকার দুটি করে উইকেট।
আরেকটি ‘লো-স্কোরিং’ ম্যাচে জয় পেয়ে আফ্রিদি দারুণ তৃপ্ত, আনন্দিত। খেলা শেষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক মেতে উঠেছেন বোলারদের প্রশংসায়, ‘আমাদের বোলাররা আবারো ভালো করেছে। কোচের উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছে ছেলেরা।’
এর পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে। ১, ৩ ও ৫ অক্টোবর তিনটি ম্যাচই হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে।