মিরাজের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গড়েছে রানের পাহাড়। স্বাগতিকদের গড়া বিশাল সংগ্রহের চাপটা যেন সামলাতেই পারছে না সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অতিথি দলটি আগের দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। সে ধারাবাহিকতা রেখেছে ম্যাচের তৃতীয় দিনেও। স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই নাকাল অবস্থা হয়েছে তাদের।
আজ বোরবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের তৃতীয় দিনে মাত্র ১১১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় তারা। বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে তাদের। তাই প্রথম ইনিংসেই ৩৯৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
তাই ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দলকে ফলোঅনে পাঠাতে পেরেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবীয় দলটির এটিই সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।
আগের দিনের পাঁচ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে এদিন ব্যাট করতে নেমে অতিথি দলটি যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৩৬ রান। তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি-জাদুতেই এই বিপর্যয় হয়েছে তাদের।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন মিরাজ। তিনি ১৬ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে সাত উইকেট তুলে নেন। বাকি তিনটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, ২৭ রান খরচায়।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করে ৫০৮ রান। যাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মাহমুদউল্লাহ। ২৪২ বল খেলে ১৩৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি।
তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলাম খেলেন ৭৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস, যাতে তিনি বল খরচ করেছেন ১৯৯টি। আর মুমিনুল ও মিঠুন ২৯ রান করে নেন। ওপেনার সৌম্য সরকার করেন ১৯ রান।
পরে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিক কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু মুশফিক দ্রুত ফিরে গেলে (১৪) কিছুটা চাপে পড়ে যায় দল। তবে সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ জুটি। দুজনে ১১১ রানের জুটি গড়েন। তবে সাকিব ১৩৯ বলে ৮০ রান করে আউট হন। এক টেস্ট পর দলে ফিরে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ৫৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন।