হাবিবুলকে ছুঁয়ে ফেললেন অধিনায়ক মাশরাফি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর প্রথম ওয়ানডেতেও সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যারিয়ারে গত রোববারের ওয়ানডে ম্যাচটির গুরুত্ব ছিল অন্যরকম। কারণ, প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। আজ মিরপুরে অবশ্য আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে ৬৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সমান সংখ্যক ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন সাবেক ক্রিকেটার হাবিবুল বাশারও।
২০০৯ সালে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি। তবে নেতৃত্বের প্রথম টেস্টেই ইনজুরি তাঁকে ছিটকে দিয়েছিল ক্রিকেট থেকে। চোট থেকে ফিরে ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে আবারও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সেই সিরিজেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সব টেস্ট খেলুড়ে দলকে অন্তত একবার ওয়ানডেতে হারানোর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে চোটের বৃত্তে আটকে পড়েন তিনি। দুই হাঁটুতে কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, কখনো ঘরোয়া ক্রিকেটের চোট তাঁকে অস্ত্রোপচারের টেবিলে নিয়ে এসেছে সাতবার। এমনকি ফর্মে না থাকায় ২০১১ সালে বিশ্বকাপ দলেই স্থান পাননি মাশরাফি।
তবে এরপর বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। ২০১৪ সালে আবারও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সেই বছরের নভেম্বর থেকে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে পর্যন্ত ৬৪ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে ছিলেন না মাশরাফি, সেটিও বিশ্রাম এবং স্লো ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে।
অন্যদিকে, সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ২০০৪ সালে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত অধিনায়ক থাকাকালীন বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এমনকি তাঁর অধিনায়কত্বেই ওই সিরিজে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৫ সালের জুনে কার্ডিফে একদিনের ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকেও তাঁর নেতৃত্বে হারিয়েছিল টাইগাররা। এমনকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কোয়ালিফাইং ম্যাচেও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান বলছে, অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে সফল মাশরাফি। আজ ৬৯তম ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার আগে তাঁর নেতৃত্বে ৩৯টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে মাত্র ২৯টি জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সময়ের বিবেচনায় হাবিবুল বাশারকেই তাঁর দেখা সেরা অধিনায়ক মনে করেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন মাশরাফি। তত দিনে হয়তো এই রেকর্ডকে আরো সমৃদ্ধ করবেন তিনি। তাঁর উত্তরসূরিরা কীভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সেটি সময়ই বলে দেবে।